শিব্বির আহমদ আরজু : বানিয়াচংয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সোমবার ( ১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় উপজেলা জামে মসজিদের ২য় তলায় ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাযজ্ঞে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও বঙ্গবন্ধুর জীবনী শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সুপার ভাইজার মোঃ সোলায় মান মিয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী। ফাউন্ডেশন এর মডেল কেয়ারটেকার মোঃ আশিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, উপজেলা প্রকৌশলী আল নূর তারেক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক বানিয়াচং সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দাল হোসেন খান, সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও কলামিস্ট মুফতি আতাউর রহমান, বিএসডি মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোবাশ্বির আহমদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন মহান হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। তিনি এ দেশে ইসলাম প্রচারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন।

টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগ মার্কাজের জায়গা তো বঙ্গবন্ধুই দিয়েছেন। আর তার কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী মাদ্রাসাকে মাস্টার্সের সমমান দিয়ে ঐতিহাসিক এক অবদান রেখেছেন। সারা বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ অব্যাহত আছে। আর সেই বঙ্গবন্ধুকে কিছু বিপদগামী মানুষ স্ব-পরিবারে হত্যা করেছে। এখনো খুনী খন্দকার মোস্তাকের প্রেতাত্নারা সক্রিয় আছে। এ দেশের আলেম-উলামাসহ সকল মানুষকে এ ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, স্বাধীনতার পর প্রথম সাক্ষাতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধিকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে আপনার সৈন্য-সামন্ত কবে নিবেন ?

এ কথাটি হচ্ছে দেশ এবং জনগণকে অসীম ভালোবাসা এবং নির্ভিক বিশ্বনেতার পরিচয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫৫ বছরের জীবনে পাকিস্তানী সরকারের নানান ক্ষেত্রে অত্যাচার এবং শোষণের বিরুদ্ধে রুখ দাঁড়াতে গিয়ে ১৮টি বছর জেল খেটেছেন। তবুও নীতির ক্ষেত্রে কোন আপোস করেননি। সেই মহান মানুষের অসমাপ্ত আত্মজীবনী নতুন প্রজন্মকে পড়তে হবে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেয়ারটেকার মাওলানা আব্দুল মালেক, বানিয়াচং ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কলাম লেখক মাওলানা শায়খ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা সাদিক আহমদ, কাজী দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।