শিব্বির আহমদ আরজু ।।
কিছু মানুষকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা সারা জীবনের জন্য বয়ে বেড়াতে হয় । সেই সময় বজ্রপাত নামের যমদূতে কৃষক-শ্রমিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষেরা আতংকিত হয়ে পড়েন । আসুন জেনে নেই বজ্রপাত হওয়ার কারণ সমূহ।
পৃথিবীর যে কয়টি দেশে বজ্রপাত বেশি হয় এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ । বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারনেই বাড়ছে বজ্রপাত এর ঘটনা । তা ছাড়া পরিবেশ দূষণের কারণে ও বজ্রপাত হয়ে থাকে । তাপমাত্রা যত বাড়বে বজ্রপাতের ঘটনা ও তত বৃদ্ধি পাবে ।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান এর ভাষ্যমতে ১৯৮১ সাল থেকে বজ্রপাতের ঘটনা বাড়তে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা জরিপে উঠে এসেছে ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি মানুষের মৃর্ত্যু ঘটেছে বাংলাদেশে ।
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে করণীয় :
# উচুঁ জায়গায় বা খেলার মাঠে দাঁড়িয়ে থাকবেন না ।
# খোলা জায়গা থাকলে ছাতা ব্যবহার করবেন না ।
# গাছের নীচে আশ্রয় নিবেন না ।
# বাইরে হাটার সময় বজ্রপাত দেখা দিলে দ্রুত মাটিতে বসে পড়বেন ।
# বাড়িতে আশ্রয় নিন ।
# মোটর সাইকেল/ বাইসাইকেল আরোহীরা দ্রুত নেমে পড়ুন এবং নিরাপদ আশ্রয় নিন ।
# পুকুর, জলাশয়, খাল, নদী জাতীয় স্থানে অবস্থান করবেন না ।
# তীব্র বজ্রপাতের সময় ঘর হতে বাহির হবেন না ।
# মোবাইল ফোন এর ব্যবহার মানুষের ওপর বজ্রপাতের আশংকা বাড়ায় ।
# চামড়ার ভিজা জুতা ও খালি পায়ে থাকা বিপদজনক !
বজ্রপাত প্রতি সেকেন্ডে ৬০ হাজার মিটার বেগে নিচে নেমে যায় ।
এই বিপুল পরিমাণ তাপসহ বজ্র মানুষের দেহের উপর পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃর্ত্যু ঘটে । বজ্রপাতের স্থায়িত্বকাল সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ । বজ্রপাত ভূমি কম্পের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ।
বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করা ও বিপদজনক । বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে যেভাবে সেবা/ উদ্ধার করা দরকার সেভাবেই বজ্রপাতে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য ।আসুন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশি বেশি গাছ রোপণ করি । বেশি বেশি গাছ রোপণের মাধ্যমে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে বলে বিশ্লেকরা মনে করেন ।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব।
তাং-১০/১০/২০২২ খ্রি.