ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচং ইসলামি নাগরিক ফোরামের সদস্য মাও: হাফিজুর রহমানের বিদেশ গমন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল Logo জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় নিয়োগ পেলেন সাংবাদিক মোঃ আব্দাল মিয়া Logo গ্যানিংগঞ্জ বাজার ৩দিন ব্যাপি তাফসিরুল কোরআন মহা সম্মেলন-২০২৩ সফল করতে আলোচনা সভা Logo বানিয়াচংয়ে অবাধে পাখি শিকার করছে শিকারীরা Logo গ্যানিংগঞ্জ বাজারের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপি তাফসিরুল কোরআন মহা সম্মেলন আগামী ৯,১০ ও ১১ ডিসেম্বর Logo সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে নৌকাকে বিজয়ী করুন : এমপি আবুজাহির Logo বানিয়াচংয়ে হবিগঞ্জ শিক্ষা-সংস্কৃতি উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ অনুষ্ঠিত Logo বানিয়াচং ইসলাহুল উম্মাহ পরিষদের উদ্যোগে মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন এমপি মজিদ খান Logo বানিয়াচং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

বই লিখুন, বেঁচে থাকুন

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে
এম এ মজিদ :
বই পড়ার প্রতি কি একেবারেই আগ্রহ কমে গেছে? এই প্রশ্নটি এখন করা যায়। চারদিকে অবারিত পড়ার সুযোগ, জানার সুযোগ, দেখার সুযোগ, ডিজিটাল যোগে মোটা মোটা বই পড়ার সময় কই। আসলে কি তাই? বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবা যায়।
প্রথমেই নিজের মধ্যে প্রশ্ন জাগে, আমার বই কি পাঠক পড়বে? কেন পড়বে? আমাকে কয়জন চিনেন? অনেক কিছু জানি, কিন্তু বই লিখব কিভাবে, প্রকাশ করবে কে, অর্থ যোগানদাতা কে হবে, প্র“ফ কে দেখবে, নামকরণ, প্রচ্ছদ, ইত্যাদি এলোমেলো চিন্তা আসা স্বাভাবিক। বই লিখব একটা, চিন্তা করব হাজারটা, বরং বই লেখার চেয়ে কিছু বই পড়ে নেয়াই ভাল। এসব চিন্তা থেকে অনেকের যোগ্যতা থাকার পরও বই লিখেন না।
অনেকে মনে করেন, বিশিষ্ট ব্যক্তি না হলে বই লেখা যায় না, বিশিষ্ট ব্যক্তির লেখা বই ছাড়া কেউ বই পড়ে না। আমি মনে করি, লিখে বিশিষ্ট ব্যক্তি হওয়া যায়, বিশিষ্ট ব্যক্তি হয়ে যারা বই লিখেছেন, তারা হয় আত্বজীবনী লিখেছেন, নতুবা হাতে গুনা কয়েকটি বই লিখেছেন। আর লিখে লিখে যারা বিশিষ্ট হয়েছেন তারা অগনিত বই লিখেছেন, অগনিত বই লিখে লিখে তারা মানুষের মাঝে বেচে আছেন, থাকবেন।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সুন্দর বই লিখতে পারেন। নিজ নিজ বিষয়ের উপর বই লিখতে পারেন। তাদের বইয়ের পাঠকও থাকবে প্রচুর। অনেকের বদলী চাকুরী, ভিন্ন ভিন্ন জেলায় বদলী হবেন, নতুন নতুন শিক্ষার্থী পাবেন, তাদের ভাবনাটা খুব সহজে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশিয়ে দেয়া সম্ভব। যদি একটি বই ভাল হয়ে যায়, দেখবেন ওই শিক্ষক বই লেখা ছাড়া অন্য কোনো চিন্তাই করতে পারবেন না। বিচার বিভাগে কর্মরত চাকুরীজীবীরা আইনের উপর বই লিখতে পারেন। সহজ ভাষায় ছোট আকারে অতি প্রয়োজনীয় কিছু আইনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে বই লিখলে আমার বিশ্বাস, চলবে। আইন জানার প্রতি, মানার প্রতি মানুষের অদম্য আগ্রহ রয়েছে। সিভিল প্রশাসনে চাকুরীজীবীদের অবারিত সুযোগ রয়েছে বই লেখার। অনেক মেধার স্বাক্ষর রাখছেন তারা। খুব বেশি প্রতিকুল, অনুকুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা সময় অতিবাহিত করেন। নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে, পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, নৃগোষ্টি, ইত্যাদি বিষয়গুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরতে পারেন নিজেদের লেখায়। বই আকারে প্রকাশ করলে খারাপ হওয়ার কোনো কারণই নেই। চিকিৎসা সংক্রান্ত সহজ পাঠ্য বইয়ের বড় অভাব। প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত ছোট আকৃতির একটি বই লিখেন, আমার বিশ্বাস ওই চিকিৎসক, সমাজে সেরা হয়ে উঠবেন তার বইয়ের মাধ্যমে। অনেকে দেশ বিদেশ ভূমণ করেন। শখে ঘুরেন, দেখেন, তৃপ্তি পান। শখ, দেখা, তৃপ্তি পাওয়া, সাথে ঘেটে ঘেটে যদি দেখে আসা স্থানের ইতিহাস ঐতিহ্যটা জেনে নেন এবং তা পুস্তক আকারে প্রকাশ করেন, চমৎকার একটি বই হতে পারে। আইনজীবীরা সুন্দর বই লিখতে পারেন। অনেক আলোচিত ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে থাকেন আইনজীবীরা। ঠিক একেকটি আলোচিত, সমালোচিত, আলোড়িত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই একটি বই লিখা যায়। পাঠক আগ্রহ ভরে পড়বে। রান্না বিষয়ক বই তো এখন চড়া দামে বিক্রি হয়। সাধারণ গৃহীনী, শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী মহিলাদের কাছে রান্নার বই অত্যন্ত পছন্দের। প্রায় প্রত্যেক ঘরে একটি করে রান্না শেখার বই পাবেনই। যা পড়ছেন, যা রান্না করছেন, তা নিয়েই একটি বই লিখুন। বই লেখায় আগ্রহীর সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে ধর্মীয় শিক্ষিত ব্যক্তিরা। একেকজন অনেক বই লিখেন। নিজেদের ভাবনা, ইসলাম ধর্মের প্রসার, প্রাত্যহিক আমল, নবী রাসুল অলি আওলিয়াদের জীবনী, একেকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে, বিভিন্ন মনিষিদের জীবনে ইত্যাদি বিষয়ে তারা বই লিখেন।
একই ভাবে অন্য ধর্মের লোকেরাও নিজ নিজ ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে যথেষ্ট বই লিখেন। তাদের বই চলেও বেশি। বই লেখার সাথে, পড়ার সাথে, পর্যালোচনার সাথে সরাসরি জড়িত সাংবাদিকরা। অথচ বাজারে সাংবাদিকদের বই খুবই কম। হাতে গুনা কয়েকটা হতে পারে। অথচ সমাজের দর্পন হিসাবে খ্যাত সাংবাদিকরা সমাজের যে কোনো অসঙ্গতি, সম্ভাবনাময় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বই লিখতে পারেন। প্রবাসীরা বাস্তব জীবনের উপর বই লিখতে পারেন। প্রবাস জীবন, সোনার হরিণ না কষ্ট মালা, প্রবাসে গিয়ে প্রথমে মানুষ কি কি সমস্যার সম্মুখিন হতে পারেন, কি কি সুযোগ সুবিধা সহজে পাওয়া যেতে পারে, বিস্তারিত বই আকারে প্রকাশ করলে বইটির প্রচুর কাটতি হবে। মা’রা বই লিখতে পারেন। একেক সন্তানকে অনেক দুর নিয়ে যাওয়ার কাহিনী থাকতে পারে বইয়ে।
কেন বই লিখবেনঃ শুধুই কি টাকা ইনকামের জন্য বই লিখবেন? মোটেই না। জীবনে তো অনেক টাকা খরচ করেছেন, মৃত্যুর পর নিজেকে আরও কিছুদিন সমাজে বাচিয়ে রাখতে একটি বই লিখার পিছনে কিছু টাকা খরচ করুন। ড. এপিজে আব্দুল কালাম মারা গেছেন, তিনি বিয়ে করেননি, কোনো ওয়ারিশান নাই, কিন্তু তার লেখা ইগনাইটেড মাইন্ডস, উইংস অব ফায়ার, টার্নিং পয়েন্ট, মাই জার্নি ইত্যাদি বই সন্তান হিসাবে শত শত বছর তাকে বাচিয়ে রাখবে। একইভাবে মহাত্ম গান্ধীর আত্বকথা, নেলসন ম্যান্ডেলার লং ওয়াক টু ফ্রিডম, বেনজির ভুট্টোর ডক্টর অব দ্যা ইস্ট, এডলফ হিটলারের মাইন ক্যাম্ফ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্বজীবনী, জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনপুঞ্জি, ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে লেখা “দ্য লাইফ অব ইন্দিরা গান্ধী” ইত্যাদি বই শতশত বছর তাদেরকে বাচিয়ে রাখবে।
এতো বইয়ের ভীড়ে আমার বই কি পাঠক পড়বে? প্রশ্ন হচ্ছে, কেন পড়বে না। এই কেন এর জবাব যদি বইয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই পাঠক সহজে সেটি গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, আমি নিজে কোনো বই লিখিনি, তবে লিখে যাচ্ছি, হয়তো এক সময় হবে।
লেখকঃ আইনজীবী ও সংবাদকর্মী,
হবিগঞ্জ। ০১৭১১-৭৮২২৩২
ট্যাগস

বানিয়াচং ইসলামি নাগরিক ফোরামের সদস্য মাও: হাফিজুর রহমানের বিদেশ গমন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

বই লিখুন, বেঁচে থাকুন

আপডেট সময় ০১:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০
এম এ মজিদ :
বই পড়ার প্রতি কি একেবারেই আগ্রহ কমে গেছে? এই প্রশ্নটি এখন করা যায়। চারদিকে অবারিত পড়ার সুযোগ, জানার সুযোগ, দেখার সুযোগ, ডিজিটাল যোগে মোটা মোটা বই পড়ার সময় কই। আসলে কি তাই? বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবা যায়।
প্রথমেই নিজের মধ্যে প্রশ্ন জাগে, আমার বই কি পাঠক পড়বে? কেন পড়বে? আমাকে কয়জন চিনেন? অনেক কিছু জানি, কিন্তু বই লিখব কিভাবে, প্রকাশ করবে কে, অর্থ যোগানদাতা কে হবে, প্র“ফ কে দেখবে, নামকরণ, প্রচ্ছদ, ইত্যাদি এলোমেলো চিন্তা আসা স্বাভাবিক। বই লিখব একটা, চিন্তা করব হাজারটা, বরং বই লেখার চেয়ে কিছু বই পড়ে নেয়াই ভাল। এসব চিন্তা থেকে অনেকের যোগ্যতা থাকার পরও বই লিখেন না।
অনেকে মনে করেন, বিশিষ্ট ব্যক্তি না হলে বই লেখা যায় না, বিশিষ্ট ব্যক্তির লেখা বই ছাড়া কেউ বই পড়ে না। আমি মনে করি, লিখে বিশিষ্ট ব্যক্তি হওয়া যায়, বিশিষ্ট ব্যক্তি হয়ে যারা বই লিখেছেন, তারা হয় আত্বজীবনী লিখেছেন, নতুবা হাতে গুনা কয়েকটি বই লিখেছেন। আর লিখে লিখে যারা বিশিষ্ট হয়েছেন তারা অগনিত বই লিখেছেন, অগনিত বই লিখে লিখে তারা মানুষের মাঝে বেচে আছেন, থাকবেন।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সুন্দর বই লিখতে পারেন। নিজ নিজ বিষয়ের উপর বই লিখতে পারেন। তাদের বইয়ের পাঠকও থাকবে প্রচুর। অনেকের বদলী চাকুরী, ভিন্ন ভিন্ন জেলায় বদলী হবেন, নতুন নতুন শিক্ষার্থী পাবেন, তাদের ভাবনাটা খুব সহজে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশিয়ে দেয়া সম্ভব। যদি একটি বই ভাল হয়ে যায়, দেখবেন ওই শিক্ষক বই লেখা ছাড়া অন্য কোনো চিন্তাই করতে পারবেন না। বিচার বিভাগে কর্মরত চাকুরীজীবীরা আইনের উপর বই লিখতে পারেন। সহজ ভাষায় ছোট আকারে অতি প্রয়োজনীয় কিছু আইনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে বই লিখলে আমার বিশ্বাস, চলবে। আইন জানার প্রতি, মানার প্রতি মানুষের অদম্য আগ্রহ রয়েছে। সিভিল প্রশাসনে চাকুরীজীবীদের অবারিত সুযোগ রয়েছে বই লেখার। অনেক মেধার স্বাক্ষর রাখছেন তারা। খুব বেশি প্রতিকুল, অনুকুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা সময় অতিবাহিত করেন। নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে, পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, নৃগোষ্টি, ইত্যাদি বিষয়গুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরতে পারেন নিজেদের লেখায়। বই আকারে প্রকাশ করলে খারাপ হওয়ার কোনো কারণই নেই। চিকিৎসা সংক্রান্ত সহজ পাঠ্য বইয়ের বড় অভাব। প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত ছোট আকৃতির একটি বই লিখেন, আমার বিশ্বাস ওই চিকিৎসক, সমাজে সেরা হয়ে উঠবেন তার বইয়ের মাধ্যমে। অনেকে দেশ বিদেশ ভূমণ করেন। শখে ঘুরেন, দেখেন, তৃপ্তি পান। শখ, দেখা, তৃপ্তি পাওয়া, সাথে ঘেটে ঘেটে যদি দেখে আসা স্থানের ইতিহাস ঐতিহ্যটা জেনে নেন এবং তা পুস্তক আকারে প্রকাশ করেন, চমৎকার একটি বই হতে পারে। আইনজীবীরা সুন্দর বই লিখতে পারেন। অনেক আলোচিত ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে থাকেন আইনজীবীরা। ঠিক একেকটি আলোচিত, সমালোচিত, আলোড়িত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই একটি বই লিখা যায়। পাঠক আগ্রহ ভরে পড়বে। রান্না বিষয়ক বই তো এখন চড়া দামে বিক্রি হয়। সাধারণ গৃহীনী, শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী মহিলাদের কাছে রান্নার বই অত্যন্ত পছন্দের। প্রায় প্রত্যেক ঘরে একটি করে রান্না শেখার বই পাবেনই। যা পড়ছেন, যা রান্না করছেন, তা নিয়েই একটি বই লিখুন। বই লেখায় আগ্রহীর সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে ধর্মীয় শিক্ষিত ব্যক্তিরা। একেকজন অনেক বই লিখেন। নিজেদের ভাবনা, ইসলাম ধর্মের প্রসার, প্রাত্যহিক আমল, নবী রাসুল অলি আওলিয়াদের জীবনী, একেকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে, বিভিন্ন মনিষিদের জীবনে ইত্যাদি বিষয়ে তারা বই লিখেন।
একই ভাবে অন্য ধর্মের লোকেরাও নিজ নিজ ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে যথেষ্ট বই লিখেন। তাদের বই চলেও বেশি। বই লেখার সাথে, পড়ার সাথে, পর্যালোচনার সাথে সরাসরি জড়িত সাংবাদিকরা। অথচ বাজারে সাংবাদিকদের বই খুবই কম। হাতে গুনা কয়েকটা হতে পারে। অথচ সমাজের দর্পন হিসাবে খ্যাত সাংবাদিকরা সমাজের যে কোনো অসঙ্গতি, সম্ভাবনাময় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বই লিখতে পারেন। প্রবাসীরা বাস্তব জীবনের উপর বই লিখতে পারেন। প্রবাস জীবন, সোনার হরিণ না কষ্ট মালা, প্রবাসে গিয়ে প্রথমে মানুষ কি কি সমস্যার সম্মুখিন হতে পারেন, কি কি সুযোগ সুবিধা সহজে পাওয়া যেতে পারে, বিস্তারিত বই আকারে প্রকাশ করলে বইটির প্রচুর কাটতি হবে। মা’রা বই লিখতে পারেন। একেক সন্তানকে অনেক দুর নিয়ে যাওয়ার কাহিনী থাকতে পারে বইয়ে।
কেন বই লিখবেনঃ শুধুই কি টাকা ইনকামের জন্য বই লিখবেন? মোটেই না। জীবনে তো অনেক টাকা খরচ করেছেন, মৃত্যুর পর নিজেকে আরও কিছুদিন সমাজে বাচিয়ে রাখতে একটি বই লিখার পিছনে কিছু টাকা খরচ করুন। ড. এপিজে আব্দুল কালাম মারা গেছেন, তিনি বিয়ে করেননি, কোনো ওয়ারিশান নাই, কিন্তু তার লেখা ইগনাইটেড মাইন্ডস, উইংস অব ফায়ার, টার্নিং পয়েন্ট, মাই জার্নি ইত্যাদি বই সন্তান হিসাবে শত শত বছর তাকে বাচিয়ে রাখবে। একইভাবে মহাত্ম গান্ধীর আত্বকথা, নেলসন ম্যান্ডেলার লং ওয়াক টু ফ্রিডম, বেনজির ভুট্টোর ডক্টর অব দ্যা ইস্ট, এডলফ হিটলারের মাইন ক্যাম্ফ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্বজীবনী, জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনপুঞ্জি, ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে লেখা “দ্য লাইফ অব ইন্দিরা গান্ধী” ইত্যাদি বই শতশত বছর তাদেরকে বাচিয়ে রাখবে।
এতো বইয়ের ভীড়ে আমার বই কি পাঠক পড়বে? প্রশ্ন হচ্ছে, কেন পড়বে না। এই কেন এর জবাব যদি বইয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই পাঠক সহজে সেটি গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, আমি নিজে কোনো বই লিখিনি, তবে লিখে যাচ্ছি, হয়তো এক সময় হবে।
লেখকঃ আইনজীবী ও সংবাদকর্মী,
হবিগঞ্জ। ০১৭১১-৭৮২২৩২