ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘বানিয়াচং ইসলামি নাগরিক ফোরাম’র নির্বাহী কমিটির সভা Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ পরিষদের সভা Logo এমপি মজিদ খান ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্ট এর নক আউট পর্বের খেলায় বিজয়ী সুর্যসেনা ও পপুলার-বি Logo বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই: বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি Logo এমপি মজিদ খান ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্টে ১ম রাউন্ডে শরীফখানী ও টাউন বি-ক্লাব বিজয়ী Logo বানিয়াচংয়ে এমপি আব্দুল মজিদ খান ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্ট এর বর্ণাঢ্য উদ্বোধন Logo আজ উদ্বোধন হচ্ছে এমপি মজিদ খান ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ Logo বানিয়াচংয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন : ২লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান Logo বানিয়াচংয়ে ইসলামি সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন Logo আগামীকাল বানিয়াচংয়ে আসছেন আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী

প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হলেন গোটা জাতির জন্য উত্তম আদর্শ

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুল হাসান ফারুকী :

ছোটদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) হলেন গোটা মানবজাতির জন্য উত্তম আদর্শ। উনার জীবনের প্রতিটি কর্মই আমাদের অনুকরণীয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন- “রাসূলের জীবনে তোমাদের জন্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।” (সুরা আহযাব, আয়াত- ২১) প্রিয় নবী সা. জীবনে ছোট-বড় সকলের জন্যই রয়েছে উত্তম নমুনা। তিনি সকলকেই ভালোবাসতেন এবং সম্মান করতেন। আমরা রাসুল সা. এর এই হাদিসটি স্মরণ করতে পারি। তিনি বলেছেন- “যারা ছোটদের স্নেহ করে না ও বড়দের সম্মান করে না।

তারা আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। “ (আল আদাব আল মুফরাদ-৩৫৮) তিনি বড়দের যেমন স্মান করতেন ছোটদের অনেক স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। প্রিয় নবী (সা) শিশু-কিশোরদের জন্য ছিলেন বন্ধু। ছিলেন খেলার সাথী। তিনি তাদের খুব স্নেহ করতেন। এমনকি তাদের মুখে খাবারও তুলে দিতেন। গল্প ও কবিতা শোনাতেন। মাথায় হাত বুলাতেন। কোলে তুলে নিয়ে চুমু খেতেন। একদিনের ঘটনা। প্রিয় নবী (সা) তার নাতী হাসান রা. কে আদর করে চুমু খাচ্ছিলেন। তা দেখে হযরত আকরা ইবনে হাবিস (রা) মহানবী সা. কে বললেন, ‘‘হে আল্লাহর রাসুল (সা)! আপনি কি এমনিভাবে শিশুদের আনন্দ দান ও আনন্দ উপভোগ করেন? আমারতো ১০জন সন্তান রয়েছে।

আমি আমার ছোট শিশু সন্তানদের কোনোদিন চুমু খাইনি (এত আদর করি না)। প্রিয় নবী (সা) তার দিকে তাকালেন এবং বললেন- ‘‘যে ব্যক্তি দয়া প্রদর্শন করে না সেও দয়া প্রাপ্ত হয় না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ (সা) যখন নামায পড়েন, তখন হাসান ও হোসাইন তাঁর পিঠে আরোহন করে। লোকেরা যখন তাদের আরোহণ করতে নিষেধ করেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) ইশারা দেন যে, তাদের বিষয়টা ছেড়ে দাও। নামায শেষে তিনি দুজনকে নিজের কোলে বসান এবং বলেন, যে আমাকে ভালবাসে, সে যেন এই দুজনকেও ভালবাসে ।

প্রিয় নবী (সা) কখনো শিশুদের প্রতি রাগ করতেন না বা তাদেরকে ধমক দিতেন না। তিনি তাদেরকে বুকে ঝড়িয়ে ধরতেন। একবার একটি সুন্দর শিশুকে দেখে তিনি জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘‘ইন্নাহুম লামিন রায়হানিল্লাহ।’’ অর্থাৎ‘এই শিশুরাই তো আল্লাহর বাগানের ফুল।’’ তিনি কখনো কোন শিশুকে বিকৃত নামে ডাকতেন না। তিনি তাদের অর্থবোধক নাম রাখতেন এবং মিষ্টিসুরে সুন্দর নাম ধরে ডাকতেন। প্রিয়নবী (সা) শিশুদের যেমন স্নেহ করতেন, তেমনি তাদের সাথে রসিকতাও করতেন।

একবার আনাস (রা) এর ছোট ভাইয়ের একটি পাখি মারা যায়। সেই পাখির নাম ছিল নুগায়ের। এতে তার মন খারাপ হয়। প্রিয় নবী (সা) তাকে খুশি করার জন্য কবিতার ছন্দে বললেন- “ইয়া আবা উমায়ের, মা ফায়ালান নুগায়ের?” অর্থাৎ হে আবু উমায়ের, কী করে তোমার নুগায়ের। এ কথা শুনে সে হেসে দিল এবং খুশি হয়ে গেল। তার মন থেকে দুঃখ চলে গেল। (সহীহ আল-বুখারী-৬১২৯) আমাদের উচিত ছোটদের স্নেহ করা। তাদেরকে মহানবী (সা) এর জীবনী থেকে এরকম সুন্দর সুন্দর কথাগুলো শুনানো।

যাতে করে তারা রাসুল (সা) এর আদর্শ বেড়ে উঠতে পারে। তাদেরকে ধমক না দেওয়া। তাদের সামনে ঝগঢ়া না করা। তাদের সামনে মন্দ কথা না বলা। ছোটবেলা থেকে কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা। তাদের যাবতীয় পাঠ্য বইয়ের সাথে অবশ্যই মহানবী (সা) এর জবীবনী পাঠকে আবশ্যক করে তোলা।

লেখক : পিএইচডি গবেষক, ইন্দোনেশিয়া,

University of Muhammadiyah Surakarta, Indonesia।

hassanfaruky@gmail.com

ট্যাগস

‘বানিয়াচং ইসলামি নাগরিক ফোরাম’র নির্বাহী কমিটির সভা

প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হলেন গোটা জাতির জন্য উত্তম আদর্শ

আপডেট সময় ০৬:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাহমুদুল হাসান ফারুকী :

ছোটদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) হলেন গোটা মানবজাতির জন্য উত্তম আদর্শ। উনার জীবনের প্রতিটি কর্মই আমাদের অনুকরণীয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন- “রাসূলের জীবনে তোমাদের জন্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।” (সুরা আহযাব, আয়াত- ২১) প্রিয় নবী সা. জীবনে ছোট-বড় সকলের জন্যই রয়েছে উত্তম নমুনা। তিনি সকলকেই ভালোবাসতেন এবং সম্মান করতেন। আমরা রাসুল সা. এর এই হাদিসটি স্মরণ করতে পারি। তিনি বলেছেন- “যারা ছোটদের স্নেহ করে না ও বড়দের সম্মান করে না।

তারা আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। “ (আল আদাব আল মুফরাদ-৩৫৮) তিনি বড়দের যেমন স্মান করতেন ছোটদের অনেক স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। প্রিয় নবী (সা) শিশু-কিশোরদের জন্য ছিলেন বন্ধু। ছিলেন খেলার সাথী। তিনি তাদের খুব স্নেহ করতেন। এমনকি তাদের মুখে খাবারও তুলে দিতেন। গল্প ও কবিতা শোনাতেন। মাথায় হাত বুলাতেন। কোলে তুলে নিয়ে চুমু খেতেন। একদিনের ঘটনা। প্রিয় নবী (সা) তার নাতী হাসান রা. কে আদর করে চুমু খাচ্ছিলেন। তা দেখে হযরত আকরা ইবনে হাবিস (রা) মহানবী সা. কে বললেন, ‘‘হে আল্লাহর রাসুল (সা)! আপনি কি এমনিভাবে শিশুদের আনন্দ দান ও আনন্দ উপভোগ করেন? আমারতো ১০জন সন্তান রয়েছে।

আমি আমার ছোট শিশু সন্তানদের কোনোদিন চুমু খাইনি (এত আদর করি না)। প্রিয় নবী (সা) তার দিকে তাকালেন এবং বললেন- ‘‘যে ব্যক্তি দয়া প্রদর্শন করে না সেও দয়া প্রাপ্ত হয় না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ (সা) যখন নামায পড়েন, তখন হাসান ও হোসাইন তাঁর পিঠে আরোহন করে। লোকেরা যখন তাদের আরোহণ করতে নিষেধ করেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) ইশারা দেন যে, তাদের বিষয়টা ছেড়ে দাও। নামায শেষে তিনি দুজনকে নিজের কোলে বসান এবং বলেন, যে আমাকে ভালবাসে, সে যেন এই দুজনকেও ভালবাসে ।

প্রিয় নবী (সা) কখনো শিশুদের প্রতি রাগ করতেন না বা তাদেরকে ধমক দিতেন না। তিনি তাদেরকে বুকে ঝড়িয়ে ধরতেন। একবার একটি সুন্দর শিশুকে দেখে তিনি জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘‘ইন্নাহুম লামিন রায়হানিল্লাহ।’’ অর্থাৎ‘এই শিশুরাই তো আল্লাহর বাগানের ফুল।’’ তিনি কখনো কোন শিশুকে বিকৃত নামে ডাকতেন না। তিনি তাদের অর্থবোধক নাম রাখতেন এবং মিষ্টিসুরে সুন্দর নাম ধরে ডাকতেন। প্রিয়নবী (সা) শিশুদের যেমন স্নেহ করতেন, তেমনি তাদের সাথে রসিকতাও করতেন।

একবার আনাস (রা) এর ছোট ভাইয়ের একটি পাখি মারা যায়। সেই পাখির নাম ছিল নুগায়ের। এতে তার মন খারাপ হয়। প্রিয় নবী (সা) তাকে খুশি করার জন্য কবিতার ছন্দে বললেন- “ইয়া আবা উমায়ের, মা ফায়ালান নুগায়ের?” অর্থাৎ হে আবু উমায়ের, কী করে তোমার নুগায়ের। এ কথা শুনে সে হেসে দিল এবং খুশি হয়ে গেল। তার মন থেকে দুঃখ চলে গেল। (সহীহ আল-বুখারী-৬১২৯) আমাদের উচিত ছোটদের স্নেহ করা। তাদেরকে মহানবী (সা) এর জীবনী থেকে এরকম সুন্দর সুন্দর কথাগুলো শুনানো।

যাতে করে তারা রাসুল (সা) এর আদর্শ বেড়ে উঠতে পারে। তাদেরকে ধমক না দেওয়া। তাদের সামনে ঝগঢ়া না করা। তাদের সামনে মন্দ কথা না বলা। ছোটবেলা থেকে কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা। তাদের যাবতীয় পাঠ্য বইয়ের সাথে অবশ্যই মহানবী (সা) এর জবীবনী পাঠকে আবশ্যক করে তোলা।

লেখক : পিএইচডি গবেষক, ইন্দোনেশিয়া,

University of Muhammadiyah Surakarta, Indonesia।

hassanfaruky@gmail.com