ইমতিয়াজ আহমেদ লিলু।।
প্রাপ্ত বয়ষ্কদের হাফপ্যান্ট পড়া আধুনিকতা নয় বরং নির্লজ্জতা, অসভ্যতা ও বেহায়াপনা। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যায় প্রাপ্ত বয়ষ্ক অনেক ছেলেই মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্নীয়স্বজনের সামনে হাফপ্যান্ট পড়ে চলাফেরা করে। আসলে এটাকে আমাদের সমাজে অনেকে আধুনিকতা মনে করে কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এটা আধুনিকতা নয়।
এটা আমাদের সমাজের মানুষের মনমানসিকতার পতন। তারা মনে করে যারা আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে তারাই এমন পোশাক পড়ে। আজকাল হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটে গেলেই দেখা যায় এক শ্রেণীর প্রাপ্ত বয়ষ্ক ছেলেরা দল বেঁধে হাফ প্যান্ট পড়ে চলাফেরা করছে।
বিভিন্ন স্কুল, কলেজের আশেপাশে তাদের আধুনিকতা বেশী লক্ষ্য করা যায়। আমরা হয়তো অনেকেই জানি, বাড়িতে বা গোসল খানায় অথবা অতিরিক্ত গরমে নিজ ঘরে একান্ত অবস্থায় হাফ প্যান্ট পড়ে থাকা অনুত্তোম কাজ। একাকী থাকলেও সতর ঢেকে রাখাই উত্তম।
ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা নগ্নতা হতে বেঁচে থাকো। কেননা তোমাদের এমন সঙ্গী আছেন (কিরামান-কাতিবীন) যারা পস্রাব-পায়খানা ও স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের সময় ছাড়া অন্য কোন সময় তোমাদের হতে আলাদা হন না। সুতরাং তাদের লজ্জা কর এবং সম্মান কর। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৮০০]
এই হাদিসটি আমাদের জানা অতিব জরুরি। তা-না হলে নিজের অজান্তেই অনেকে একটি ফরয বিধান তরক করছি প্রতিনিয়ত। অনেকেরই এই বদ-অভ্যাস যে, মানুষের সামনে লুঙ্গি, বা প্যান্ট হাঁটুর ওপরে পড়ে। আর ওই দিকে ফরয তরক হচ্ছে। আর যুবকরা তো হাফ প্যান্ট পড়াকে আধুনিকতা বলে ধারণা করে।
এক্ষেত্রে খুব টাইট ফিটিং টি-শার্ট বা হাফপ্যান্ট যেগুলোকে আমরা ফ্যাশন বলে ধারণা করছি, সেটাও পর্দার আদবের পরিপন্থী। শরীরের আকৃতি মানুষের কাছে এভাবে প্রকাশ পাওয়াও দৃষ্টিকটু বটে।
আমাদেরকে এই হাফ প্যান্ট পড়া প্রথা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। এজন্য সবার আগে পরিবারের অভিভাবকের সদিচ্ছা প্রয়োজন। যদি আপনার আমার পরিবারের কেউ এমন পোশাক পরিধান করে তাহলে তাকে অবশ্যই নিরুৎসাহিত করতে হবে এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সুন্দর সমাজ ও সুন্দর মনমানসিকতার সমাজ ব্যবস্থা আমরা সবাই চাই।
এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সমাজ থেকে আধুনিকতার নামে যে নির্লজ্জতা, অসভ্যতা ও বেহায়াপনা চলছে তা দূর করা সম্ভব।
লেখক : সিনিয়র সহ-সভাপতি,
বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব,বানিয়াচং,হবিগঞ্জ।
তাং- ২৩/০৮/২০২৩ খ্রি.