
তাদেরকে জীবিত কবর দেওয়া হতো এবং তাদেরকে দাসী হিসাবে ব্যবহার করা হতো। মেয়েদেরকে ঐ অবস্থা থেকে উদ্ধার করার জন্য রাসুল (সাঃ) বলছেন, যে দাসীকে স্বাধীন করে বিয়ে করবে তার জন্য রয়েছে দ্বীগুণ সওয়াব। ইসলাম ধর্ম মেয়েদের দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান, আরো দিয়েছে মায়ের মর্যাদা। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, পায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত। বাবা, স্বামী ও সন্তানের সম্পদে দিয়েছে মেয়েদের অধিকার। আর রাসুল (সাঃ) নারীদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারূপ করেছেন এবং তাদের শিক্ষার জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছেন। আবু সাঈদ খুদরী ( রা.) থেকে বর্ণিত নারীরা একবার রাসুলুল্লাহ কাছে গিয়ে বললেন, আপনার কাছে সব সময় পুরুষের ভীর থাকে, তাই আমাদের তালিম- তরবিয়তের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করুন! নবীজি (সাঃ) তাদের জন্য একটি দিন নির্ধারণ করলেন, তাদের কাছে গিয়ে ওয়াজ নসিহত করলেন ও নেক আমল করার আদেশ করলেন (বুখারী হাদিসঃ ১০১)। আর নারী সাহাবীরা ও জ্ঞান অর্জনে গুরত্বারূপ করতেন। বিশেষ করে আনসারী সাহাবীরা জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী ছিলেন। হযরত আয়শা (রাঃ) বলছেন, আনসারী নারীরা কত ভালো! দ্বীনি জ্ঞান অর্জনে লজ্জা তাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না (মুসলিম, হাদিসঃ ৩৬২)। আর হযরত আয়শা (রাঃ) এত পরিমান জ্ঞান অর্জন করেছিলেন যে, বড় বড় সাহাবীরা পর্যন্ত সময়ে সময়ে বিভিন্ন বিষয় জানতেন। নারীদের শিক্ষা- দীক্ষা দেওয়ার জন্য মেয়ের মা’ বাবাকে সু-সংবাদ দিয়ে বলছেনঃ যে তিনটি কন্যা সন্তান ও তিন বোন প্রতিপালন করলো এবং তাদেরকে শিষ্টাচার শিক্ষা দিল, এবং তাদের প্রতি দয়া করলো, অবশেষে আল্লাহ তা’য়লা তাদের মুখাপেক্ষীহীন করে দিলেন। তাহলে তার জন্য আল্লাহ তা’য়লা কার জন্য জান্নাত অবধারিত করে দিবেন। তখন এক সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহর রাসুল দুইটি কন্যাসন্তান প্রতিপালন করলে? তিনি উত্তরে বললেন দুটি করলেও ( শারহুস সুন্নাহ, সুত্রে মিশকাত, পৃষ্টাঃ ৪২৩) আর আমরা যৌক্তিক দৃষ্টিতে ও দেখতে পাই একজন পুরুষের জন্য যতটুকু জ্ঞান প্রয়োজন এবং মহিলার জন্য ততটুকু জ্ঞান প্রয়োজন, আর একটি সুন্দর সমাজ ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে মেয়েদের শিক্ষার বিকল্প নেই।