আব্দাল মিয়া, বানিয়াচং থেকে : হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেছেন, আমরা প্রত্যেক মানুষ দায়িত্বশীল। মনে রাখতে হবে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়। আমরা চেষ্টা করছি জনগণের দোরগড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যার যার অবস্থান থেকে দূর্নীতিমুক্ত থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। মনে রাখুন, গোয়েন্দা দফতরের লোকজন খুব তৎপর রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আপনাদের যেন লজ্জা পেতে না হয় সেটা ভাবতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৩টায় উপজেলা মিলনায়তনে ইউএনও মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জ পর্যটনের সম্ভাবনাময় একটি জেলা। এ জেলা শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, বানিয়াচং একটি বিশাল উপজেলা। এ উপজেলার সীমান্ত একদিকে সুনামগঞ্জ, অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ। সবার মধ্যে সহমর্মিতা রয়েছে, নেই কোন রাজনৈতিক হানাহানি। জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গ্রাম্য দাঙ্গার কিছুটা প্রবণতা থাকলেও সেটা বন্ধ করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একসময় এ উপজেলায় শিক্ষার হার অনেক কম ছিল। সেটা আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি ও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল খালেক, বানিয়াচং আইডিয়েল কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দাশ, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক, আব্দুল আহাদ, ওয়ারিশ উদ্দিন খান, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ রেখাছ মিয়া, মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার জয় কুমার দাশ, কাজী মুফতি আতাউর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক, কাজী মুফতি আতাউর রহমান, বিপুল ভূষণ রায়, বানিয়াচং উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন (একাংশ), বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া (একাংশ) , মাস্টার আলী রহমান ও মাস্টার আব্দুল কাইয়ূম প্রমুখ।
সভা শেষে উপজেলা চত্ত্বরে ৩ ভিক্ষুককে পূনর্বাসন করে পণ্যসহ টং দোকান এবং নন্দীপাড়া মহল্লায় রবিদাস পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।