পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাত হানার সক্ষমতা বাড়িয়ে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে চান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। অতি-সম্প্রতি দেশটির সামরিক বাহিনীর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি আলোচিত লক্ষ্য অর্জনে নতুন দিকনির্দেশনাও দেন।
আজ রোববার উত্তর কোরিয়ার রাস্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা- কেসিএনএ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি চলমান থাকা অবস্থায় এটি কিমের দ্বিতীয় জন-সংস্পর্শে আসার ঘটনা। এর আগে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে, পশ্চিমা গণমাধ্যমের এমন প্রচারের প্রেক্ষিতে- গত ২ মে একটি সার কারখানা উদ্বোধন করেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা।
কেসিএনএ জানায়, উ. কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ওয়ার্কাস পার্টি সদস্যদের ওই বৈঠকে কিম সভাপতিত্ব করেছেন।
বৈঠকের বিস্তারিত প্রকাশ না করলেও বার্তা সংস্থাটি বৈঠকে সামরিক বিষয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায়। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে; দেশটির সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ ইউনিটের আওতাধীন কামান ও রকেটের অধিক দূরপাল্লায় আঘাত হানার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পরমাণু অস্ত্র সজ্জিত কৌশলগত ইউনিটকে উচ্চ সতর্কাবস্থানে রাখার মতো বেশকিছু নির্দেশ।
ওই বৈঠকে সামরিক বিষয়ে মোট সাতটি নির্দেশনাপত্রে স্বাক্ষর করেন কিম।