ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo এমপি মজিদ খানের মধ্যস্থতায় বানিয়াচং সৈদারটুলা ছান্দের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন Logo মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ায় মুফতি হাফিজুল হককে সংবর্ধনা প্রদান Logo আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্য চড়া: ক্রেতাদের নাভিশ্বাস Logo একজন কর্মবীর সফল এমপি আব্দুল মজিদ খান Logo বানিয়াচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’কে বিদায় সংবর্ধনা Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মনজুর চৌধুরী Logo বানিয়াচংয়ে ইফা শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২০লিটার চোলাই মদ জব্দ : আটক-১ Logo প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হলেন গোটা জাতির জন্য উত্তম আদর্শ

পরিস্থিতি সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে: শেখ হাসিনা

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৫০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

তরঙ্গ ডেস্ক : বিজয় দিবসে বুধবার গণভবনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস ‍উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

বিজয় দিবসে বুধবার গণভবনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস ‍উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি সাম্প্রদায়িক যে কোনো তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রকাশের পাশাপাশি যে কোনো পরিস্থিতি সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

বিজয় দিবসে বুধবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই নির্দেশনা দেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা উঠানোর চেষ্টা হয়েছে..বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ নিয়ে চলবে।

“আমরা এখন মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ আছি বলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের অবহেলার চোখে দেখব, তা নয়। কারণ মনে রাখতে হবে, সকলে এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে একই সাথে রক্ত ঢেলে দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছে।

“কাজেই এদেশের মাটিতে ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার নিয়েই বাস করবে। যার যার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা সকলেরই থাকবে। সেই চেতনায় আমরা বিশ্বাস করি। ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়ে থাকে। নবী করিম (সা.)ও আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কাজেই আমি আপনাদের এইটুকুই বলব, সবাইকে যে কোনো পরিস্থিতি সহনশীলতার সাথেই মোকাবেলা করতে হয়। সেটাই করতে হবে।

“আর কে কী বলল,না বলল, সেগুলো শোনার থেকে আমরা কতটুকু দেশের জন্য করতে পারলাম, সেটাই আমাদের চিন্তায় থাকবে। তাহলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব,সঠিক কাজ করতে পারব।”

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা দলীয় নেতা-কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।

“আজকে যে শিশুটি এই মুহূর্তে জন্মাবে, তার ভবিষ্যতটা কী হবে, সেটা বিবেচনা করেই আমাদের কর্মসূচি আমরা নিয়েছি। এটা তো আওয়ামী লীগের দায়িত্ব, আওয়ামী লীগের কর্তব্য। জাতির পিতা আমাদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমাদের সংগঠনটাকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।”

১৯৭৫ এর পর জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এখন ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেবে বঙ্গবন্ধুর নামে, সেই ঘোষণা দিয়েছে। মুজিব শতবর্ষে বাঙালি জাতির জন্য এটা একটা বড় উপহার।

তিনি বলেন, “আজকের এই বিজয়ের মুহূর্তে আমি স্মরণ করি যে সকল রাষ্ট্র..বিশেষ করে ভারত,ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এবং ভারতের জনগণ। তারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।

“এছাড়া সোভিয়েত রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলো. যুগোস্লাভিয়া..মার্শাল টিটোসহ প্রত্যেকে আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছিল। যে সমস্ত রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই দেশের জনগণ কিন্তু আমাদের পক্ষে ছিল।”

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারানো ২ লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা জাতির পিতার সংগ্রামমুখর জীবন তুলে ধরেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হারনোর কথা তুলে ধরে বলেন, “কাজেই আমি জানি হারাবার বেদনা কত কঠিন। অনেকের তো লাশও পাইনি।”

১৯৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বহু নেতাকর্মীকে হত্যার কথা ‍উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এই নির্যাতন তো চলছে। অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সবকিছু আমরা দেখেছি।”

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকা আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে আমাদের চুক্তিও হয়ে গেছে। ডব্লিউএইচও এরই মধ্যে অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি এটা পেয়ে যাব।”

এই সভায় স্বশরীরে সভায় উপস্থিত হতে না পারায় নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “খুব কষ্ট লাগছে, দুঃখ লাগছে। সবাই ওখানে বসে আছেন, আর আমি দূরে জেলখানার মতন আরেকটা বন্দিশিবিরে বসে আছি। এই বন্দিশিবির কতদিন। আসলে সারাবিশ্বেই তো একই অবস্থা। কাজেই এখান থেকে কিভাবে মুক্তি আসবে সেটাই বড় কথা।”

গণভবন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রান্তে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক,জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন,মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্য নেতারা।
সূত্র : বিডিনিউজ২৪.কম

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

পরিস্থিতি সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে: শেখ হাসিনা

আপডেট সময় ০৩:৫০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

তরঙ্গ ডেস্ক : বিজয় দিবসে বুধবার গণভবনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস ‍উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

বিজয় দিবসে বুধবার গণভবনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস ‍উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি সাম্প্রদায়িক যে কোনো তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রকাশের পাশাপাশি যে কোনো পরিস্থিতি সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

বিজয় দিবসে বুধবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই নির্দেশনা দেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা উঠানোর চেষ্টা হয়েছে..বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ নিয়ে চলবে।

“আমরা এখন মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ আছি বলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের অবহেলার চোখে দেখব, তা নয়। কারণ মনে রাখতে হবে, সকলে এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে একই সাথে রক্ত ঢেলে দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছে।

“কাজেই এদেশের মাটিতে ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার নিয়েই বাস করবে। যার যার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা সকলেরই থাকবে। সেই চেতনায় আমরা বিশ্বাস করি। ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়ে থাকে। নবী করিম (সা.)ও আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কাজেই আমি আপনাদের এইটুকুই বলব, সবাইকে যে কোনো পরিস্থিতি সহনশীলতার সাথেই মোকাবেলা করতে হয়। সেটাই করতে হবে।

“আর কে কী বলল,না বলল, সেগুলো শোনার থেকে আমরা কতটুকু দেশের জন্য করতে পারলাম, সেটাই আমাদের চিন্তায় থাকবে। তাহলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব,সঠিক কাজ করতে পারব।”

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা দলীয় নেতা-কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।

“আজকে যে শিশুটি এই মুহূর্তে জন্মাবে, তার ভবিষ্যতটা কী হবে, সেটা বিবেচনা করেই আমাদের কর্মসূচি আমরা নিয়েছি। এটা তো আওয়ামী লীগের দায়িত্ব, আওয়ামী লীগের কর্তব্য। জাতির পিতা আমাদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমাদের সংগঠনটাকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।”

১৯৭৫ এর পর জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এখন ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেবে বঙ্গবন্ধুর নামে, সেই ঘোষণা দিয়েছে। মুজিব শতবর্ষে বাঙালি জাতির জন্য এটা একটা বড় উপহার।

তিনি বলেন, “আজকের এই বিজয়ের মুহূর্তে আমি স্মরণ করি যে সকল রাষ্ট্র..বিশেষ করে ভারত,ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এবং ভারতের জনগণ। তারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।

“এছাড়া সোভিয়েত রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলো. যুগোস্লাভিয়া..মার্শাল টিটোসহ প্রত্যেকে আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছিল। যে সমস্ত রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই দেশের জনগণ কিন্তু আমাদের পক্ষে ছিল।”

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারানো ২ লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা জাতির পিতার সংগ্রামমুখর জীবন তুলে ধরেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হারনোর কথা তুলে ধরে বলেন, “কাজেই আমি জানি হারাবার বেদনা কত কঠিন। অনেকের তো লাশও পাইনি।”

১৯৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বহু নেতাকর্মীকে হত্যার কথা ‍উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এই নির্যাতন তো চলছে। অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সবকিছু আমরা দেখেছি।”

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকা আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে আমাদের চুক্তিও হয়ে গেছে। ডব্লিউএইচও এরই মধ্যে অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি এটা পেয়ে যাব।”

এই সভায় স্বশরীরে সভায় উপস্থিত হতে না পারায় নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “খুব কষ্ট লাগছে, দুঃখ লাগছে। সবাই ওখানে বসে আছেন, আর আমি দূরে জেলখানার মতন আরেকটা বন্দিশিবিরে বসে আছি। এই বন্দিশিবির কতদিন। আসলে সারাবিশ্বেই তো একই অবস্থা। কাজেই এখান থেকে কিভাবে মুক্তি আসবে সেটাই বড় কথা।”

গণভবন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রান্তে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক,জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন,মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্য নেতারা।
সূত্র : বিডিনিউজ২৪.কম