ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা Logo সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি

নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি, নাভিশ্বাস ক্রেতাদের

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

তরঙ্গ ডেস্ক : আকাশ ছুঁয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। আগের দিনের মূল্য ছাড়িয়ে যাচ্ছে পরের দিন। চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, শাকসবজি-এমন কোন ভোগ্য পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। এতে করে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েও স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের। আর এর পেছনে রয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ।
সরকারের মনিটরিংও তাদের কিছুই করতে পারছে না। সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া পণ্যমূল্য মানছে না তারা। উল্টো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েই চলেছে।
বাজারে মুরগির চেয়েও দাম বেশি সবজির। শিম বাজারে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা। আলু বিগত কয়েক দশকের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। যেখানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১২০ থেকে ৩০ টাকা। চার মাসের বেশি সময় ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ এক কেজি কাঁচামরিচের দাম পড়ছে ৩২০ টাকা।
১১০-১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পাকা টমেটো, গাজর, বেগুন, বরবটির সঙ্গে নতুন করে ১০০ টাকা কেজির তালিকায় নাম লিখিয়েছে উস্তা। এর মধ্যে পাকা টমেটো গত কয়েক মাসের মতো এখনো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। বেগুনও গত সপ্তাহের মতো ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি ৯০ টাকা।
অন্যান্য সবজির দামেও উর্ধগতি। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক হালি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঝিঙা, কাঁকরোল, ধুন্দুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
বাজারে নতুন আসা ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে মুলা ও পেঁপে। এর মধ্যে মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।

পেঁয়াজের মজুদ থাকা সত্ত্বেও সুফল পায়নি ক্রেতারা। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আমদানি করা বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজেরও কেজি ৮০ টাকা। গত মাসে ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে সেই যে বেড়েছে, তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর কমেনি।
গত ২-৩ সপ্তাহে বেড়েছে চালের দামও। মানভেদে প্রতি কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে গেছে। বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা। নাজিরশাইল চালের দামও কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মাঝারি মানের চালের দাম বেড়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। আড়তে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা।

কারওয়ান বাজারের এক ক্রেতা জানান, ১০০ টাকার সবজি দিয়ে এক বেলাও হয় না। সবজির এতো দাম আমার ৫০ বছরের জীবনে আর দেখিনি। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই সবজির দাম চড়া। এর মধ্যেই তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বেড়ে গেল। আগে কখনো পুরাতন আলুর কেজি ৪০ টাকা কিনে খাইনি। সূত্র : দৈনিক মানবজমিন

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি, নাভিশ্বাস ক্রেতাদের

আপডেট সময় ০৬:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

তরঙ্গ ডেস্ক : আকাশ ছুঁয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। আগের দিনের মূল্য ছাড়িয়ে যাচ্ছে পরের দিন। চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, শাকসবজি-এমন কোন ভোগ্য পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। এতে করে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েও স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের। আর এর পেছনে রয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ।
সরকারের মনিটরিংও তাদের কিছুই করতে পারছে না। সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া পণ্যমূল্য মানছে না তারা। উল্টো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েই চলেছে।
বাজারে মুরগির চেয়েও দাম বেশি সবজির। শিম বাজারে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা। আলু বিগত কয়েক দশকের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। যেখানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১২০ থেকে ৩০ টাকা। চার মাসের বেশি সময় ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ এক কেজি কাঁচামরিচের দাম পড়ছে ৩২০ টাকা।
১১০-১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পাকা টমেটো, গাজর, বেগুন, বরবটির সঙ্গে নতুন করে ১০০ টাকা কেজির তালিকায় নাম লিখিয়েছে উস্তা। এর মধ্যে পাকা টমেটো গত কয়েক মাসের মতো এখনো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। বেগুনও গত সপ্তাহের মতো ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি ৯০ টাকা।
অন্যান্য সবজির দামেও উর্ধগতি। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক হালি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঝিঙা, কাঁকরোল, ধুন্দুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
বাজারে নতুন আসা ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে মুলা ও পেঁপে। এর মধ্যে মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।

পেঁয়াজের মজুদ থাকা সত্ত্বেও সুফল পায়নি ক্রেতারা। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আমদানি করা বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজেরও কেজি ৮০ টাকা। গত মাসে ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে সেই যে বেড়েছে, তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর কমেনি।
গত ২-৩ সপ্তাহে বেড়েছে চালের দামও। মানভেদে প্রতি কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে গেছে। বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা। নাজিরশাইল চালের দামও কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মাঝারি মানের চালের দাম বেড়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। আড়তে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা।

কারওয়ান বাজারের এক ক্রেতা জানান, ১০০ টাকার সবজি দিয়ে এক বেলাও হয় না। সবজির এতো দাম আমার ৫০ বছরের জীবনে আর দেখিনি। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই সবজির দাম চড়া। এর মধ্যেই তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বেড়ে গেল। আগে কখনো পুরাতন আলুর কেজি ৪০ টাকা কিনে খাইনি। সূত্র : দৈনিক মানবজমিন