দেবু ভট্টাচার্য : সময়ের সাথে সাথে আমি হেরে গেছি ! অনেকটা পথ যাওয়ার কথা ছিলো আমার। অথচ আমি তার কত আগেই থেমে গেছি! পা আছে, কিন্তু হাঁটার সাধ্য কোথায় ? মুখ আছে, বলার শক্তি তো নেই ! আমি যে আমিই আছি এটা বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হয়। খুব সচেতন হয়ে জীবনের এতো যন্ত্রণা মেনে নেওয়ার ক্ষমতা ঈশ্বর হয়তো আমাকে দেননি,হয়তো কত আগেই আমি হেরে গেছি শুধু জেতার অভিনয় ছাড়া। মানুষ হয়ে না জন্মালে হয়তো আমার জানাই হতো না এক জীবনে কত ছোট হতে হয় আপনজনের কাছে। অথচ আমরা শুধু বড় হওয়ার জন্যই চেষ্টা করি! পরম যে সত্য সেটা মেনে নিতে যেখানে আমরা শিখিনি সেখানে কত বড় বড় নীতিবোধ আর প্রজ্ঞার সংমিশ্রণে আমরা একেকজন কত বড় বড় প্রাজ্ঞ! অস্তিত্ব যেখানে প্রশ্নের মুখোমুখি, সেখানে নিজেকে অন্যের সামনে বড় বা উদার করার কতো তীব্রতর ইচ্ছে আমাদের। পরিণতি জেনেও জীবনকে কত সহজেই অসামঞ্জস্যের কারখানার উৎপাদিত পণ্য বানিয়ে সবার সামনে উপস্থাপন করি। নীতির চর্চা যেখানে করার কথা ছিলো, সেখানে সহসাই বড় খাঁচায় বন্দি করে চিড়িয়াখানার প্রবল পরাক্রমশালী প্রাণীটির সাজার চেষ্টা করি।
আসলে দিনশেষে নিজেকে বদলিয়ে আমরা শুধু শুধুই সময়কে দোষ দেই। জীবনকে যে যেভাবেই দেখুক, সেটা গদ্য বা পদ্য নয়। নয় উপন্যাসের কোন কল্প-কাহিনী। সেটা দিনশেষে জীবনই।
লেখক : প্রভাষক (একাউন্টিং বিভাগ), সুফিয়া-মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজ, বানিয়াচং।