নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প সরকারের দারিদ্র বিমোচনে অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি খাস জমি প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে সুষম বণ্টন করা হয়। গুচ্ছ প্রকল্পে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নে ঘর দেয়ার নামে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন ও
মেম্বারদের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় তাদের কথা মতো উৎকোচের সম্পূর্ণ টাকা দিতে না পারার সুবিধাভোগীকে অফিসে ডেকে এনে অমানবিক নির্যাতন করেন হারুন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগি দুলাল মেম্বার৷
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যান আউশকান্দি ইউনিয়নের মহিবুর রহমান হারুন ও তার সহযোগি ইউপি সদস্য দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের মৃত সোনাফর মিয়ার পুত্র নির্যাতন ও হয়রানীর শিকার মহিবুর রহমান নামের এক অসহায় ব্যক্তি। নির্যাতন ও হয়রানির শিকার মহিবুর রহমান ও তার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের অসহায় মহিবুর রহমান ২ মাস পূর্বে পারকুল গ্রামে গুচ্ছ প্রকল্পের
১টি সরকারি ঘর দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেন। তখন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন ও ইউপি সদস্য দুলাল এই অসহায় ব্যক্তির নিকট
৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন। তাদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মুহিবুর ঘর বুঝে নেন।
ঘর দখলের পর বাকী ২০ হাজার টাকা কিছু দিন পর দিবেন বলে আশ্বাস দেন।
এরই জের ধরে গত রবিবার (১৯ জুলাই) বিকালে ইউনিয়ন অফিসে মহিবুর রহমানকে যাওয়ার জন্য বলেন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন ও দুলাল মেম্বার । মুহিবুর ইউনিয়ন অফিসে যাওয়ার পরই অবশিষ্ট ২০ হাজার টাকা দাবী করেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া। মহিবুর রহমান টাকা দিতে না অপারগতা প্রকাশ করায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন ও ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া মহিবুর রহমান কে বেধরক প্রহার ও নির্যাতন
করেন।
মারধোর ও নির্যাতনের ঘটনায় মহিবুর রহমান বাদী হয়ে গত রবিবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন ও ইউপি সদস্য দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি এসিল্যান্ড সাহেব দেখছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।