স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পার্শ্ব থেকে মোঃ আলমগীর মিয়া (৪০) নামে ৩ সন্তানের জনকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী মুর্শেদা বেগম। এদিকে নিহতের পরিবারে এখনো চলছে শোকের মাতম৷
পরিবারের কর্তা বড় সন্তানকে হারিয়ে মা রাবেয়া বেগম শোকে ও বেদনায় কেঁদে কেঁদে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন৷ সরজমিনে নিতহ আলমগীরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয় বিদারক করুণ দৃশ্য। নিহতের ৩টি মেয়ে। বড় মেয়ে তানিয়া জাহান চৈতী নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে প্রথমবর্ষের ছাত্রী। ২য় মেয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ও ৩য় মেয়ে হিবা আক্তার স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শেণিতে অধ্যয়নরত।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ আগনা গ্রামের সড়কের পার্শ্বে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সামছুদ্দিন খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মৃত দেহটি উদ্ধার করেন।
তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী। পরে মৃতদেহটি আলমগীর মিয়ার বলে শনাক্ত করে তার পরিবারের সদস্যরা।নিহত মোঃ আলমগীর মিয়ার মাতা রাবেয়া বেগম ও স্ত্রী মুর্শেদা বেগমসহ তার সন্তানদের দাবী আলমগীরকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে৷
এই ঘটনায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে দোষীদের গ্রেফতার পূর্বক কঠোর শাস্তির দাবী জানান তারা৷ এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- মৃতদেহটির ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না৷