নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : র্যাব-৯ সিপিসি-২(শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প)এর অভিযানে
১৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের বহল আলোচিত কৃষক আবুল মিয়া হত্যা মামলার মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্তুজ মিয়ার পুত্র ফয়সাল মিয়া (৩৫)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, ১৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯সিপিসি-২ (শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প)এর একটি অভিযানিক চৌকস দল লেঃ কর্ণেল আবু মুসা মোঃ শরিফুল ইসলাম ও এএসপি আফসান-আল-আলম এর নেতৃত্বে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সদরঘাট নামক স্থান থেকে দীঘল বাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মৃত আপ্তাব মিয়ার পুত্র কৃষক আবুল মিয়া হত্যা মামলার মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী একই গ্রামের মরতুজ মিয়ার পুত্র ফয়সালকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব৷ নবীগঞ্জ থানার মামলা নং-৪৪/২৬১ তারিখ ২২শে জুন ২০০৮ ধারা -১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৪১/৩০২ পেনাল কোড ১৮৬০ এর পলাতক আসামী ছিল সে।
উল্লেখিত ঘটনায় র্যাব কার্যক্রম শেষে আসামীকে নবীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেছে রাতেই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান।
উল্লেখ্যঃ উপজেলার দীঘল বাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের কৃষক আবুল মিয়াকে
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিগত ২০০৮ সালের ২২ জুন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দাউদপুর জোয়াল ভাঙা হাওর থেকে ফেরার পথে
দাউদপুরের মর্তুজ আলী ও তার লোকজন বাড়ির পাশের একটি ব্রীজের উপর থেকে ধরে নিয়ে কৃষক আবুল মিয়াকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই ঘটনায় রাতেই নিহত আবুলের ভাই সাদিক মিয়া বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ফলে তদন্ত শেষে পুলিশ আসামী মর্তুজ আলীর স্ত্রী চম্পা বেগমকে বাদ দিয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে মামলার আইও। এরই প্রেক্ষিতে ১৪ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত ৭জন আসামীকে মৃত্যু দন্ডের রায় দেন৷
ওই রায় ঘোষণার পর পরই একেক করে সব পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন৷ সর্বশেষ পলাতক আসামী ফয়সাল গ্রেফতার হওয়ার খবরে নিহতের পরিবারের লোকজন স্বস্তি প্রকাশ করে আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত রায় কার্যকর করতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।