তরঙ্গ ডেস্ক : নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের নিরাপত্তা বেস্টনির দেয়াল নির্মাণের ৬ মাসের মাথায় ভেঙে পড়েছে। গত শুক্রবার বিকালে দেয়ালটি ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে উক্ত কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। দায়িত্বহীনতার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রকৌশল শাখার বিরুদ্ধে।
কেন মাত্র ৬ মাসেই দেয়ালটি ভেঙে পড়েছে ? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সর্বমহলে। এ ব্যাপারে তদন্ত না করে কিছু বলতে চাচ্ছেন না উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সুত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের নিরাপত্তাহীনতা বেস্টুনির দেয়াল নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশল শাখা প্রায় ১৮ লাখ টাকার কোটেশন টেন্ডার করে এলজিইডির পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইকবাল আহমেদ ট্রের্ডাস। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে জেলা প্রশাসক উক্ত দেয়ালের উদ্বোধন করেন। পছন্দের ঠিকাদার হওয়ার কারণেই মূলত কাজে কাফিয়লতি করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই দায়সারাভাবে কাজ করেছেন তারা। ফলে গত শুক্রবার বিকালের দিকে হঠাৎ করে নিরাপত্তা প্রাচিরের বিশাল একটি অংশ ভেঙ্গে পড়ে যায়। অপর অংশ হেলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে- ১৮ লাখ টাকার কোটেশন হলেও মূলত কাজ হয়েছে তার অর্ধেক। বাকী টাকা প্রকৌশলীসহ লুটপাট খেয়েছেন। ফলে কাজ হয়েছে নিম্ন মানের। ফলে উদ্বোধনের ৬ মাসের মাথায় ভেঙ্গে গেল দেয়ালটি।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার নিরাপত্তা প্রাচির ভেঁঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও উপজেলা প্রকৌশলী বা তার দপ্তরের কাউকে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, কেন দেয়াল ভেঙ্গে পড়লো, যথাযথা কাজ হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র : দিনরাত অনলাইন পোর্টাল