ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি Logo হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল

দেশপ্রেমিক পুলিশের সাহসীকতায় বন্ধ হলো সংঘাত

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

অফিসের কাজ শেষ করে প্রতিদিনের মতো বাসায় রওনা করব এমন সময় কনস্টেবল সাহিন ভাই আমাকে বলেন রেজাউল ভাই আমাকে একটু মেন্দিবাগ পয়েন্টে নিয়ে যান আমাদের অফিসে কর্মরত হামিদ ভাই অসুস্থ আনারশ কিনতে হবে। মেন্দিবাগ পয়েন্ট থেকে আনারস কিনে শাহিন ভাই সহকারে উপশহর ট্রাফিক অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করি। অফিসের কাছাকাছি আসার পরেই দেখতে পাই ট্রাফিক অফিসের সামনে ময়না মিয়ার কলোনীর ভিতর থেকে একদল এবং পাশের অন্য আরেকটি কলোনী অন্যএকটি দল দেশিও অস্ত্র যেমন দা, বটি, লাটি, পাইপ ইত্যাদি নিয়ে দুই পক্ষে বেশ উত্তেজনা বিরাজমান। কিছু ব্যবসায়ীগন বাধা দিতে গিয়ে ব্যর্থহয়েছেন।

রাস্তায় গাড়ী চলাচল তখন বন্ধ, মারামারি লেগেছে এই দিকে না যাওয়ার জন্যে কিছু লোকজন নিষেধ করেছে, কথা টি আমি কানে না নিয়ে বাইকের হর্ন চেপে ধরি এবং পিকাপ বারিয়ে দেই বাইক টির আওয়াজ বেড়ে যায়, তখন বাইক নিয়ে প্রায় দুই পক্ষের মধ্যে চলে যাই। তখন আমি উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে পকেটে থাকা বাঁশি ভের করে জুড়ে জুড়ে হুইসেল মারতে থাকি এবং ৭/৫ না ভেবে সাহসীকতার সাথে এগিয়ে যাই আর একটি স্টিলের পাইপ একজন দাঙ্গা কারির কাছ থেকে হেছকা টানদিয়ে কেরে নেই এবং দুই পার্টিকে দুই দিকে ধাওয়া করি এবং ছত্র ভঙ্গ করতে সক্ষম হই। সেই সাথে উপস্থিত জনতাকে নিজ নিজ কাজে এবং অন্যদের কে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য বলি।

য়পরবর্তীতে এই ঘটনার খবর পেয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে একটি টহল পার্টি আসে। এবং পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উপস্থিত সাক্ষী গনের কাছ থেকে ঘটনা জেনে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। জে ব্লক বাজার ব্যবসায়ীগন এবং ফাঁড়ি থেকে আগত পুলিশ সদস্য গন আমার এই সাহসীকতার জন্য প্রশংসা ও ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করেন। সবার মন্তব্য যদি আমি এগিয়ে না আসতাম তাহলে আহত কিংবা নিহতের ঘটনা ঘটে যেত। সবাই যখন আমাকে নিয়ে এই ভাবে প্রশংসা করতে থাকে শুনে আমার ও ভালো লাগলো। সত্যি খুব আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে আজ আমার কারনে বড় ধরনের একটি অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হতে পারেনি।

উল্লেখ্য, রেজাউল আলম নাসিম হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪ নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্গত প্রথমরেখ গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তযোদ্ধা আব্দুল আলীমের ছেলে।

লেখক : রেজাউল আলম নাসিম, ট্রাফিক অফিস,এসএমপি,সিলেট।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম

দেশপ্রেমিক পুলিশের সাহসীকতায় বন্ধ হলো সংঘাত

আপডেট সময় ০১:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

অফিসের কাজ শেষ করে প্রতিদিনের মতো বাসায় রওনা করব এমন সময় কনস্টেবল সাহিন ভাই আমাকে বলেন রেজাউল ভাই আমাকে একটু মেন্দিবাগ পয়েন্টে নিয়ে যান আমাদের অফিসে কর্মরত হামিদ ভাই অসুস্থ আনারশ কিনতে হবে। মেন্দিবাগ পয়েন্ট থেকে আনারস কিনে শাহিন ভাই সহকারে উপশহর ট্রাফিক অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করি। অফিসের কাছাকাছি আসার পরেই দেখতে পাই ট্রাফিক অফিসের সামনে ময়না মিয়ার কলোনীর ভিতর থেকে একদল এবং পাশের অন্য আরেকটি কলোনী অন্যএকটি দল দেশিও অস্ত্র যেমন দা, বটি, লাটি, পাইপ ইত্যাদি নিয়ে দুই পক্ষে বেশ উত্তেজনা বিরাজমান। কিছু ব্যবসায়ীগন বাধা দিতে গিয়ে ব্যর্থহয়েছেন।

রাস্তায় গাড়ী চলাচল তখন বন্ধ, মারামারি লেগেছে এই দিকে না যাওয়ার জন্যে কিছু লোকজন নিষেধ করেছে, কথা টি আমি কানে না নিয়ে বাইকের হর্ন চেপে ধরি এবং পিকাপ বারিয়ে দেই বাইক টির আওয়াজ বেড়ে যায়, তখন বাইক নিয়ে প্রায় দুই পক্ষের মধ্যে চলে যাই। তখন আমি উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে পকেটে থাকা বাঁশি ভের করে জুড়ে জুড়ে হুইসেল মারতে থাকি এবং ৭/৫ না ভেবে সাহসীকতার সাথে এগিয়ে যাই আর একটি স্টিলের পাইপ একজন দাঙ্গা কারির কাছ থেকে হেছকা টানদিয়ে কেরে নেই এবং দুই পার্টিকে দুই দিকে ধাওয়া করি এবং ছত্র ভঙ্গ করতে সক্ষম হই। সেই সাথে উপস্থিত জনতাকে নিজ নিজ কাজে এবং অন্যদের কে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য বলি।

য়পরবর্তীতে এই ঘটনার খবর পেয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে একটি টহল পার্টি আসে। এবং পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উপস্থিত সাক্ষী গনের কাছ থেকে ঘটনা জেনে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। জে ব্লক বাজার ব্যবসায়ীগন এবং ফাঁড়ি থেকে আগত পুলিশ সদস্য গন আমার এই সাহসীকতার জন্য প্রশংসা ও ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করেন। সবার মন্তব্য যদি আমি এগিয়ে না আসতাম তাহলে আহত কিংবা নিহতের ঘটনা ঘটে যেত। সবাই যখন আমাকে নিয়ে এই ভাবে প্রশংসা করতে থাকে শুনে আমার ও ভালো লাগলো। সত্যি খুব আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে আজ আমার কারনে বড় ধরনের একটি অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হতে পারেনি।

উল্লেখ্য, রেজাউল আলম নাসিম হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪ নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্গত প্রথমরেখ গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তযোদ্ধা আব্দুল আলীমের ছেলে।

লেখক : রেজাউল আলম নাসিম, ট্রাফিক অফিস,এসএমপি,সিলেট।