মোঃ আব্দাল মিয়া/ শেখ মোঃ আলমগীর : হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, বানিয়াচংয়ে সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় আমরা ভীষণ লজ্জিত। আমি মনে করি উপজেলার আইন শৃঙ্খলার উন্নতিতে ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের দায়িত্বশীল ভূমিকাই যথেষ্ট। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সহ আমিও কোনভাবে দায় এড়াতে পারি না। ১০দিনের মধ্যে সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র থানায় জমা দিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এর ব্যত্যয় ঘটলে দাঙ্গার সাথে জড়িতদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না ।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকাল ৪টায় ডা. ইলিয়াছ একাডেমি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহের সভাপতিত্বে বানিয়াচংয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, জঙ্গিবাদ ও দাঙ্গা প্রতিরোধে সম্প্রীতি সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, দাঙ্গা ‘মোখার’ চেয়েও ভয়ঙ্কর। দাঙ্গার যে ভয়াবহ ক্ষতি তা ভুক্তভোগি ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। বাংলাদেশের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক মোঃ আজমুল হোসেন বলেন, আপনাদের (বানিয়াচংয়ের) সন্তানরা অত্যন্ত মেধাবী। আপনারা নিজেরা বিভিন্ন দাঙ্গায় জড়িত হয়ে সেই সম্ভাবনাময় মেধাবী সন্তানদের মামলায় জড়িয়ে জীবন নষ্ট করছেন। সেই সাথে আপনারা নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, একের পর এক দাঙ্গা হওয়ায় আমরা ভীষণ লজ্জিত হচ্ছি। বানিয়াচং সম্পর্কে অন্য জায়গার মানুষদের মধ্যে খারাপ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু দাঙ্গায় জড়িত মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের জন্য এ দায় আমরা উপজেলাবাসী নিতে পারি না। এতে যারাই জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে আহবান জানাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ বলেন, আপনাদের অনুভূতিকে জাগ্রত করতে হবে। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়ানো যাবে না। আপনার একটি অপরাধের জন্য উপজেলাবাসী বদনামের ভাগিদার হচ্ছেন সেটা বুঝতে হবে। এ ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল হাসান, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব, ওসি (তদন্ত) মোঃ আবু হানিফ, ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া,
মোঃ মিজানুর রহমান খান, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিপুল ভূষণ রায়, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুফতি আতাউর রহমান, উপজেলা ইফা ফিল্ড সুপার ভাইজার মোঃ সোলায়মান, বানিয়াচং ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শায়খ সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ মিয়া, মোঃ আরফান উদ্দিন, মোঃ আনোয়ার হোসেন,
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, ডা. ইলিয়াছ একাডেমি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেমায়েত আলী খান, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমদ আরজু, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি রায়হান উদ্দিন সুমন ও সাংবাদিক শেখ নুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিবর্গ।