
রাজনৈতিক ব্যক্তি হলে তো আরো এক ধাপ এগিয়ে। কোনো কোনো নেতাকে রিপোর্টার সাংবাদিক ফোন করে জানালে বলেনÑ ছাপা হয়েছে নাকি? তাহলে পত্রিকাটা পাঠিয়ে দেবেন! হ্যাঁ, এমনটি ঘটে। এমনও দেখা যায়, একটি রিপোর্ট ছাপানোর জন্য সাংবাদিকের পেছনে পেছনে ঘুরেন। সাংবাদিক বিরক্ত। বললেই তো আর রিপোর্ট হয়ে যায় না। এর জন্য কাজ করতে হয়। সময় ব্যয় করতে হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য নিতে হয়। তারপর রিপোর্ট লিখতে হয়। এভাবে রিপোর্ট লিখে ছাপার অক্ষরে দেখলে সাংবাদিক নিজে খুশি হন। কষ্টের ফসল সংবাদ ছাপার অক্ষরে দেখতে সকল রিপোর্টারই পুলকিত হন। কিন্তু যার জন্য লেখা দেখা গেল তিনি ফোন দিয়ে ধন্যবাদটুকুও জানান না। অবশ্য সাংবাদিকরা ধন্যবাদের আশাও করেন না। কারণ সাংবাদিকরা জানেন, সাংবাদিকতা থ্যাংকলেস জব। তারা শুধু চান তাদের লেখনীতে ওই ব্যক্তির উপকার হোক। তিনি তার সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসুক। বহু ঘটনা আছেÑ এক রিপোর্টেই তার ভাগ্য বদলে গেছে। সাংবাদিক তা দেখে বুক ফুলিয়ে বলেন, আমার রিপোর্টে ওই ব্যক্তির সমস্যার সমাধান হয়েছে। এটাই রাজ্যের সুখ একজন রিপোর্টারের জন্য। (ধারাবাহিক পর্ব-১৫)