মো. সাহিদুর রহমান: ব্যবসা নয় সেবার ব্রত নিয়ে এবং সাংবাদিকতার গুরুত্ব অনুধাবন করে যে ক’জন সাংবাদিকতা করছেন তাকে এদের একজন বলা হয়ে থাকে।
বলছিলাম হবিগঞ্জের উদীয়মান সাংবাদিক ও ঢাকার জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার সিনিয়র সাব এডিটর এম এ আর শায়েল এর সফলতা আর জয়গানের গল্প।
হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা এই সাংবাদিকের সংবাদপত্রে হাতেখড়ি হয় ২০০২ সালের শেষের দিকে হবিগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত দৈনিক প্রতিদিনের বাণী দিয়ে। অবশ্য এর আগেই তিনি গল্প, কবিতাসহ সাহিত্যধর্মী লেখালেখি করতেন।
তিনি তার সৃষ্টিশীল চিন্তা-চেতনার শৈলী ও সুপ্ত মনমানসিকতা দিয়ে হবিগঞ্জের তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অনেক দুর।
হবিগঞ্জ শহরের জে কে এন্ড হাইস্কুল থেকে এসএসসি, সরকারি বৃন্দাবন কলেজ থেকে সম্মান এবং ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করা এই সাংবাদিককে বলা হয়ে থাকে মানবিক সাংবাদিকতার অতন্দ্র প্রহরী এবং তরুণ সৎ সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণা।
তিনি সব সময়ই ভুয়া আর বিভ্রান্তিকর সাংবাদিকতার বিপক্ষে।
সাংবাদিকতার জীবনে তিনি হবিগঞ্জের আরেকটি দৈনিক লোকালয় বার্তার নিউজ এডিটর ছিলেন। পড়াশুনার পাশাপাশি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন এমন সাংবাদিকের তালিকা করলে তিনি প্রথম হবেন বলার উপেক্ষা রাখে না।
এ ছাড়াও বাংলা ভাষায় লেখনীতে দক্ষ এই সাংবাদিকের লেখনী বদলে দিয়েছে অনেক কিছুই। তিনি একজন ভালোমানের কম্পিউার অপারেটরও। নিজেই সংবাদ সম্পাদনা করে থাকেন। সাংবাদিকতায় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারি এই সাংবাদিককে তাই পছন্দও করেন অনেকে।
আর এজন্যই আজকের পত্রিকার সাব এডিটর হবার আগে তার কাজের মূল্যায়ন হিসেবে হবিগঞ্জের প্রতিদিনের বাণীর সম্পাদক প্রেসক্লাব এর সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাবান মিয়া তাকে নিউজ এডিটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব এর সদস্যও করা হয়েছিল।
গত ২৮ মে ছিল এই উদীয়মান সাংবাদিক এর ৩১ তম জন্মদিন। ঢাকায় থাকলেও তাকে ভুলেননি তার অন্য সহকর্মীরা।
মিষ্টি মুখ করিয়ে পালন করেছেন জন্মদিন। জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ হাকিম, ডিবিসি টিভির হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি এমএ আজিজ সেলিম ও বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকার সম্পাদক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রতন। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মফস্বলের সাংবাদিকতার ধরণ বদলাতে হবে। সময় এসেছে। পাঠক এখন গতানুগতিক সাংবাদিকতা পছন্দ করে না। পাঠক এখন অনলাইন আর তথ্য নির্ভর সাংবাদিকতা চায়। চায়
প্রকৃতি, গ্রামবাংলা, হাওর-বাঁওড়, নদ-নদী থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য, সাংস্কৃতিক জগৎ, বিনোদন, ক্রীড়াঙ্গন, নারী-শিশুর অধিকার, সামাজিক সংকটসহ সমাজ বিনির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, তারুণ্যের টানাপোড়েন, অসাম্প্রদায়িকতা, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অধিকার, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলসহ বহুমাত্রিক সংবাদ। তাই তিনি মফস্বল সাংবাদিকতার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, মফস্বল সাংবাদিকরা এমনিতেই অবহেলিত। তাদের লেখনী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে, পাশাপাশি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতি গুরুত্বারূপ করেন তিনি।