জালাল আহমেদ : ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?’। প্রত্যেক জীবিত প্রাণীর মৃত্যু অনিবার্য, যা আমরা আমাদের সুবিধার্থে ভুলে যাই। আমাদের ৭০-৮০ বছরের জীবনকে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থ চরিতার্থের একটি ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলি। এর মাঝেই ব্যতিক্রমরা জন্ম নেন এবং ব্যতিক্রমী জীবনযাপন করেন। ড. সা’দত হুসাইন ছিলেন এ ধরনেরই একজন ব্যতিক্রম। ড. সা’দত হুসাইনের সঙ্গে আমার পরিচয় চাকরি সূত্রে। ১৯৮৩ সালের বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমি সিভিল সার্ভিসে যোগদান করি। এই ব্যাচের অফিশিয়াল নাম ছিল বিসিএস ১৯৮২ বিশেষ। ব্যাচের প্রথম গ্রুপে নারী ও মুক্তিযোদ্ধারা যোগদান করেছিলেন ৩ এপ্রিল ১৯৮৩। আমরা মেধা তালিকা অনুযায়ী প্রথম ১৩৫ জন সিভিল অফিসার ট্রেনিং একাডেমি (কোটা)-তে যোগদান করি ১৯ জুন ১৯৮৩। প্রথম দিন যোগদানপত্র স্বাক্ষর ও ব্রিফিং। সেখানেই পরিচয় একাডেমির পরিচালক ড. সা’দত হুসাইনের সঙ্গে। সাবেক সিএসপি, ১৯৬৯-এর ব্যাচ, বাড়ি নোয়াখালী। কখনো কখনো উচ্চারণেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ১৯৮৩ সালের ওই ব্যাচে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ছিল ৫০ বছর। ঘটনাক্রমে আমার আব্বাও ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একই তারিখে তত্কালীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (নিপা) যোগদান করেছেন। এই কারণে স্যার আমাকে ভালোভাবেই খেয়াল রাখলেন। আর আমি ছিলাম বয়সে সর্বকনিষ্ঠ। আইন প্রশিক্ষণের দুই মাস ক্লাসে ও ক্লাসের বাইরে স্যারের সঙ্গে অনেকবার দেখা হয়েছে। কোমলে কঠোরে মেলানো একজন মানুষ। কাজের ক্ষেত্রে আপসহীন, কাজ আদায়ে তত্পর এবং প্রশিক্ষক হিসেবে নৈর্ব্যক্তিক।
প্রশিক্ষণ শেষে আমার পদায়ন হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অধীনে খাগড়াছড়ি মহকুমায়, আর তার আগেই আমার আব্বার পোস্টিং হয় ড. সা’দতের জেলা নোয়াখালীতে। কিছুদিন পর ড. সা’দতের একটি অফ ট্র্যাক পোস্টিং হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে (বিকেবি) জেনারেল ম্যানেজার (প্ল্যানিং) হিসেবে। খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় এলে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে বিকেবিতে যেতাম। ১৯৮৮-তে ড. সা’দত হুসাইন মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, কুমিল্লা। আমি তখন চাঁদপুর জেলা সদরে এনডিসি পদে কর্মরত। আমার ইউএনও হিসেবে পদায়ন হলো মে মাসে, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায়। জেলা সদর থেকে অনেক দূরের উপজেলা। জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর চাইলেন যে চাঁদপুর সদর বা অন্তত মতলব উপজেলায় আমার পদায়ন হোক। কিছুটা বিব্রতকর অবস্থা। তখন রমজান, ড. সা’দতকে ফোন করলাম যে কুমিল্লা আসতে চাই তার সঙ্গে দেখা করতে। আমার ব্যাচমেট শফিক আলম মেহদী (সাবেক সচিব) তখন আরডিসি, কুমিল্লা। প্ল্যান হলো যে তার বাসায় ইফতার করব। স্যার বললেন, তুমি বার্ডে আসবে আমার সঙ্গে দেখা করতে আর ইফতার করবে অন্যত্র, এটা কীভাবে হয়? আমি ৮৫ ব্যাচের একজন সহকর্মীকে নিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে এলাম বার্ডে। স্যারের সঙ্গে ইফতার করলাম। স্যারের সঙ্গে পদায়ন নিয়ে কথা বললাম। ড. সা’দত বললেন, ‘তুমি এখন এনডিসি আছ, সদরের ইউএনও হলে সিনিয়র এনডিসি হবে। সোজা বাঁশখালী গিয়ে যোগদান করো। তোমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়বে, যা পরে কাজে দেবে। আর জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণটা বাড়তি।’ আমি তার পরামর্শ মতো এক সপ্তাহের মাঝেই গিয়ে বাঁশখালী যোগদান করি ৭ জুন ১৯৮৮ সালে। অধস্তন কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিকাশের জন্য তার পরামর্শ যে কত কার্যকর ছিল, তা আমি পরে অনুধাবন করেছি। যেকোনো মাঠ কর্মকর্তার জন্য একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার বিকাশ অতিপ্রয়োজনীয় এবং সিদ্ধান্তগ্রহণমূলক পদে পদায়নের জন্য তা গুরুত্ব বহন করে।
১৯৯৫-এর মার্চে আমার পদায়ন হলো অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে সা’দত স্যারের জেলা নোয়াখালীতে। আমি যোগদান করার পর স্যারের ভাই সোনাপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয়। স্যার প্রায় নিয়মিতই বাড়ি আসতেন, প্রতি তিন-চার মাসে একবার। আমি নোয়াখালীতে কাজ করেছি ১৯৯৮-এর মার্চ পর্যন্ত তিন বছর। এই সময়কালে স্যার যতবার নোয়াখালীতে এসেছেন, প্রত্যেকবার স্যারের সঙ্গে খাবার খেতে হয়েছে। আমি যখন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ছিলাম তখনো, আর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কালে তো বটেই। স্যার তখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব। নোয়াখালী জেলায় যারা চাকরি করেন, অনেকেরই পর্যবেক্ষণ থাকে যে নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সবসময় ন্যায্য-অন্যায্য তদবির করেন। আমার তিন বছর সময়কালে সা’দত হুসাইন কখনো কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো তদবির করেননি। নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসি। পূর্ত মন্ত্রণালয় হয়ে জ্বালানি বিভাগে সিনিয়র সহকারী সচিব। স্যার তখন শিক্ষা সচিব। ২০০১-এর জানুয়ারি মাসে দীর্ঘ ১৬ বছর সিনিয়র স্কেলে থাকার পর উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলাম। নোয়াখালীতে একত্রে প্রায় তিন বছর এডিসি ছিলাম, এমন একজন ব্যাচমেট বলল সা’দত স্যারের সঙ্গে দেখা করার। বললাম, তুমি যাও। সে বলল, আমাকে তো চিনবেন না, চলো একসঙ্গে যাই। গেলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে, সচিবের রুমে। স্যার তখন উঠে যাবেন। আমাকে দেখেই হাসলেন, যা ড. সা’দতের মুখে বিরল ছিল। তখন এক এমপি সাহেব ঢুকলেন কোনো তদবিরে। স্যার বললেন, আমি বেরিয়ে যাচ্ছি আর আপনি তো কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে আসেননি, তাই আপনাকে এখন কোনো সময় দিতে পারছি না। একথা বলে বেরিয়ে এলেন। আমাদের সঙ্গে কথা বললেনকরিডোরে হাঁটতে হাঁটতে ও লিফটে। আমার বন্ধু ব্যাচমেট বলল, ড. সা’দত বছরে দুবার হাসেন, তার মধ্যে একবার হয়ে গেল তোকে দেখে।
২০০২ সালের জানুয়ারিতে আমি জেলা প্রশাসক নিযুক্ত হয়ে ঠাকুরগাঁও যাই। তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমার আরেক মেন্টর ড. আকবর আলি খান। ড. আকবর আলি খান অবসর নিয়ে বিশ্বব্যাংকে যাওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন ড. সা’দত হুসাইন। এরপর আমি এলাম ফরিদপুরে। ২০০৪-এর জুনে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাই। দুই জেলায় জেলা প্রশাসক থাকাকালে সা’দত মন্ত্রিপরিষদ সচিব থাকার সময় আশ্বস্ত ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি। তখন নিয়ম করে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অফিসে থাকতে হতো। মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিজে একাধিক জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলতেন। মঙ্গলবার ছিল সভামুক্ত দিবস। মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে তিনি জেলা প্রশাসকদের সর্বোচ্চ প্রটেকশনও দিয়েছেন। আমার এক ব্যাচমেট জেলা প্রশাসকের জেলায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দুই বিরোধীদলীয় প্রার্থী জয়লাভ করেন জেলা প্রশাসকের সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ ভূমিকার কারণে। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পরামর্শ আসে ওই জেলা প্রশাসককে উইথড্র করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ফোন করলেন আমাকে। জিজ্ঞেস করলেন যে আমি কোনো একটি পদে লিয়েনে যোগদানের জন্য আবেদন করেছি কিনা। আমি বললাম যে করেছি। তিনি বললেন যে আমরা তো তোমাকে সেখানে পোস্টিংও দিতে পারি। বললাম যে স্যার আমি তো আবেদন করেছি কিছু বাড়তি আয়ের জন্য, পোস্টিং দিলে তো তা পাব না। তিনি বুঝলেন। জিজ্ঞেস করলাম যে স্যার এই প্রশ্ন কেন করলেন। তখন তিনি ঘটনা বললেন। পরে ওই জেলা প্রশাসককে ওই নতুন জেলা থেকে বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো একটি জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো। এই ছিল ড. সা’দত হোসেনের দৃঢ়তা।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বাংলাদেশে ইউনিক। স্থাপত্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যখন প্রথম নকশা নিয়ে আলোচনা হয়, তখনই সিদ্ধান্ত হয় যে এটি হবে একটি ইউনিক ডিজাইন, দেশের অন্য কোনো কালেক্টরেটের মতো নয়। যখন ডিজাইন চূড়ান্ত হলো, তা আসলেই একক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ছিল। ড. সা’দত স্যার এলেন ফরিদপুরে, সার্কিট হাউজে বসে ডিজাইন দেখলেন, বললেন যে এই পিস্তলের মতো ডিজাইন তুমি পেলে কোথায়? কারণ ফরিদপুর কালেক্টরেটের নিচতলার ট্রেজারি ও দোতলায় কনফারেন্স রুম গোলাকার। ওপর থেকে দেখতে পিস্তলের ট্রিগার গার্ডের মতো লাগছিল। এই ডিজাইনই স্যার অনুমোদন দিলেন। পুরনো সার্কিট হাউজ বহাল রেখে পেছনে নতুন সার্কিট হাউজ নির্মাণেও সম্মতি দিলেন, এভাবেই তা নির্মিত হলো। এখনকার কর্মকর্তারা জানবেনও না যে কালেক্টরেট বিল্ডিং নির্মাণ করতে গিয়ে পুরনো কালেক্টরেটকে বিভাজনকারী রাস্তাটিও স্যারের সমর্থনে বন্ধ করে একটি একক কালেক্টরেট ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল।
২০০৪-এর ৮ জুলাই আমি জ্বালানি বিভাগে যুগ্ম সচিব পদে যোগদান করি। এখানে কাজ করি অল্পদিন। নভেম্বরে আমার পদায়ন হয় ঢাকার সিএমএম, মুখ্য মহানগর হাকিম পদে। অনেকের জন্য আকর্ষণীয় পদায়ন, আমার জন্য নয়। আমি সংশ্লিষ্ট সচিবদের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করলাম। যেন আমাকে এই পদে যেতে না হয়। প্রত্যেকেই অপারগতা প্রকাশ করলেন। ড. সা’দত স্যারের সঙ্গে দেখা করলাম একদিন। স্যার কোনো কারণে ব্যস্ত ছিলেন। ৩০ সেকেন্ডে ডিসমিস, বললেন যাও কাজ করো গিয়ে। গেলাম আরেকদিন। তিনি সময় দিলেন আধা ঘণ্টারও বেশি। চা খাওয়ালেন, গল্প করলেন, নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা বললেন। তিনি বললেন, চাকরিজীবনে তিনি আপসহীন চলেছেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র সচিব হওয়ার পর বুঝলেন যে কোথাও কোথাও একটা সমন্বয় করতে হয়। তখন তিনি ভারসাম্যের একটা মাপকাঠি ঠিক করলেন। বললেন যে একজন সিভিল সার্ভেন্টের কাছে বিধিবিধান আইন অবশ্য পালনীয় জনস্বার্থে। ফলে জনস্বার্থ বা পাবলিক গুডের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে এবং এর ওপরই নির্ভর করবে কোনো পদে থাকা না-থাকা। বললেন তুমি যখন অনুভব করবে যে সিএমএম পদে থেকে তুমি সুবিচার বা পাবলিক গুড নিশ্চিত করতে পারছ না, ইউ শুড কুইট এবং বললেন আমি যতদিন আছি তুমি নিশ্চিন্তে কাজ করো। তিনি আরেকটি কাজ করেছিলেন, প্রথমবারের মতো বিভাগীয় কমিশনারদের মাসিক সম্মেলনে ঢাকার সিএমএমকে অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন। আমি প্রায় এক বছর এই সভায় যোগ দিয়েছি। ফলে সিএমএম কোর্টের নিয়ন্ত্রক মন্ত্রণালয় হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাকে তিনি অনায়াসে নিউট্রালাইজ করে দিয়েছিলেন। সিএমএম থাকাকালে একদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ডাক এল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান প্রকৌশলী গণপূর্ত, প্রধান স্থপতি ও সাবেক জেলা প্রশাসক, ফরিদপুর, আমি। বিষয় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের বাংলো নির্মাণ। আমাকে ডাকার কারণ ছিল হয়তো জেলা প্রশাসক থাকাকালে ফরিদপুরের পুরনো কালেক্টরেট নিলামে বিক্রির বিষয়ে আমি প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলাম এবং জেলা প্রশাসক বাংলো, যা ১৮২৬ সালে নির্মিত, তা যেন ভাঙা না হয়, সে বিষয়ে আমার স্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেছিলাম। মুজিবুল হক যখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তখন তার আগ্রহেই ওই সময়ে ২০ লাখ টাকা ব্যয় করে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের বাংলো সংস্কার করা হয়; যা এখনো আছে। ২০০৩ সালে যশোর সফরে গিয়ে ২৫০ বছরের পুরনো বাংলোর ভগ্নস্তূপ দেখি, পাশে জেলা প্রশাসকের নতুন ভবন; যা পুরনো ভবন ধ্বংসের কারণ। আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয়কে বললাম, ১৮২৬ সালের এই বাংলো যেন ভাঙা না হয়। কেবল তার দোতলায় জেলা প্রশাসকের পারিবারিক আবাসস্থলটি সংস্কার করা হয়। তিনি আমার কথা রাখেন। জেলা প্রশাসক ফরিদপুরের ১৯৪ বছরের পুরনো বাংলো এখনো বর্তমান।
আমি সিএমএম থাকাকালে মূলত ড. সা’দত হুসাইন মন্ত্রিপরিষদ সচিব থাকার কারণেই আস্থা ও দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। একাধিক সময়ে যখন জটিল অবস্থার উদ্ভব হয়েছে, তিনি আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। পূর্ব পাকিস্তানে কাজ করা সাবেক আইসিএস কর্মকর্তা হ্যাচ বার্নওয়েলের একটি আত্মজীবনী কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে—‘দ্য লাস্ট গার্ডিয়ান’। ড. সা’দত হুসাইন ছিলেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অন্যতম লাস্ট গার্ডিয়ান, শেষ কয়েকজন অভিভাবকের একজন।
একজন ড. সা’দত হুসাইন, একজন সাবেক সিএসপি, ফ্রন্টের মুক্তিযোদ্ধা, অতঃপর মুজিবনগর সরকারে, কাজ করেছেন গুরুত্বপূর্ণ সব পদে, সফল জীবনযাপন করেছেন, সততা ও নিষ্ঠা প্রবাদতুল্য, সাহসী, অধস্তনের কথা শুনতেন, সাহস জোগাতেন, প্রটেকশনও দিতেন। ড. সা’দতের স্মৃতিশক্তি প্রবাদপ্রতিম, কারো নাম ভুলতেন না। বিশেষ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, একজন মহৎ মানুষ ড. সা’দত হুসাইনের অভাব আমরা অনুভব করব। সূত্র : বনিক বার্তা
জালাল আহমেদ: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব (পিআরএল)