ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা Logo সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি

ডক্টর রাগিব সারজানীর লেখা পড়ে ধাক্কা খাই কেন

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:৩১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে
মুসা আল হাফিজ : ডক্টর রাগিব সারজানীকে পেলে হাতে চুমু দিতাম। এতো লিখেছেন বলে। এরপর প্রশ্ন করতাম, আপনার রচনা যা পড়েছি,তাতে ধাক্কা খাই কেন?
আমি তাঁর রচনা তেমন পড়েছি, তা নয়। সেদিন একজন হাদিয়া দিলেন তাঁর একটি বই, আন্দালুসের ইতিহাস। দুই খণ্ড। মাকতাবাতুল হাসান প্রকাশ করেছে বাংলা অনুবাদ। সুন্দর গেটাপ,মেকাপ। যত্নের ছাপ আছে তাদের কাজটিতে। প্রকাশনীটি প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রাখছে।
বইটি পড়লাম অনেকটা। মনে হলো, সারজানীর ইতিহাস বর্ণনা কি পূর্বস্থিরিকৃত? তার বিবেচনার ক্ষেত্র কি বিশেষ জায়গায় সীমায়িত? এটা হতে পারে, অস্বাভাবিক নয়।
তবে সারজানী ধাক্কা দেন নানা জায়গায়। একটি উদাহরণ দিই। ইবনে হাযম আন্দালুসিকে ( রহ.) তিনি বর্ণনা করলেন। তার ভাষায় ” তিনি ছিলেন একাধারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকীহ,ঐতিহাসিক,কবি ও দীক্ষক। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ও মাযহাবতত্ত্ব সম্পর্কেও তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল।”
নাহ, সারজানী! ‘ তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কে তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিলো’, কথাটা পশ্চিমা কোনো ইতিহাসকার বলতে পারতেন এবং আমরা তার সাথে তর্ক করতাম। তাকে বলতাম, আপনি ইবনে হাযমের বিষয়ে হীনমন্যতার শিকার। কারণ, ইবনে হাযম ছিলেন তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তৈরী করেন তিনি ও শাহরাস্তানী।
পশ্চিমা ঐতিহাসিকরা স্বীকার করেছেন তিনি ছিলেন মানবজাতি ও বিশেষত পশ্চিমা সভ্যতার থিয়োলোজির প্রধান শিক্ষক।
তারা যেটা স্বীকার করতে পারলেন, সারজানী কেন সেটাকে এতো আদনা উপস্থাপনে নগণ্য করতে গেলেন!
আমি সারজানীর কাছে জানতে চাইতাম, প্রায় ক্ষেত্রে আপনি এমন করে কেন হতাশ করেন?
প্রশ্ন করতাম,কারণ তিনি গুরুত্বপূর্ণ। এতো কাজ তিনি করছেন, যা আমাদেরকে ঋণী।
লেখক : কবি, সাহিত্যিক, চিন্তক ও দার্শনিক, ঢাকা।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

ডক্টর রাগিব সারজানীর লেখা পড়ে ধাক্কা খাই কেন

আপডেট সময় ০২:৩১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
মুসা আল হাফিজ : ডক্টর রাগিব সারজানীকে পেলে হাতে চুমু দিতাম। এতো লিখেছেন বলে। এরপর প্রশ্ন করতাম, আপনার রচনা যা পড়েছি,তাতে ধাক্কা খাই কেন?
আমি তাঁর রচনা তেমন পড়েছি, তা নয়। সেদিন একজন হাদিয়া দিলেন তাঁর একটি বই, আন্দালুসের ইতিহাস। দুই খণ্ড। মাকতাবাতুল হাসান প্রকাশ করেছে বাংলা অনুবাদ। সুন্দর গেটাপ,মেকাপ। যত্নের ছাপ আছে তাদের কাজটিতে। প্রকাশনীটি প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রাখছে।
বইটি পড়লাম অনেকটা। মনে হলো, সারজানীর ইতিহাস বর্ণনা কি পূর্বস্থিরিকৃত? তার বিবেচনার ক্ষেত্র কি বিশেষ জায়গায় সীমায়িত? এটা হতে পারে, অস্বাভাবিক নয়।
তবে সারজানী ধাক্কা দেন নানা জায়গায়। একটি উদাহরণ দিই। ইবনে হাযম আন্দালুসিকে ( রহ.) তিনি বর্ণনা করলেন। তার ভাষায় ” তিনি ছিলেন একাধারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকীহ,ঐতিহাসিক,কবি ও দীক্ষক। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ও মাযহাবতত্ত্ব সম্পর্কেও তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল।”
নাহ, সারজানী! ‘ তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কে তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিলো’, কথাটা পশ্চিমা কোনো ইতিহাসকার বলতে পারতেন এবং আমরা তার সাথে তর্ক করতাম। তাকে বলতাম, আপনি ইবনে হাযমের বিষয়ে হীনমন্যতার শিকার। কারণ, ইবনে হাযম ছিলেন তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তৈরী করেন তিনি ও শাহরাস্তানী।
পশ্চিমা ঐতিহাসিকরা স্বীকার করেছেন তিনি ছিলেন মানবজাতি ও বিশেষত পশ্চিমা সভ্যতার থিয়োলোজির প্রধান শিক্ষক।
তারা যেটা স্বীকার করতে পারলেন, সারজানী কেন সেটাকে এতো আদনা উপস্থাপনে নগণ্য করতে গেলেন!
আমি সারজানীর কাছে জানতে চাইতাম, প্রায় ক্ষেত্রে আপনি এমন করে কেন হতাশ করেন?
প্রশ্ন করতাম,কারণ তিনি গুরুত্বপূর্ণ। এতো কাজ তিনি করছেন, যা আমাদেরকে ঋণী।
লেখক : কবি, সাহিত্যিক, চিন্তক ও দার্শনিক, ঢাকা।