আব্দাল মিয়া/ আক্তার হোসেন আলহাদী, বানিয়াচং থেকে : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী‘কে স্মরনীয় করে রাখতে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অভিনব উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।খাদ্য গুদামের অতিরিক্ত ও পরিত্যক্ত ভূমিতে বঙ্গবন্ধু‘র জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্নরকম ঔষধি,ফলদ ঔ ছায়াদানকারী বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়েছে। খাদ্য গুদামের পরিত্যক্ত ভূমি হলেও চারা রোপনের উদ্যোগ ও অর্থের সংস্থান খাদ্য কর্মকর্তা নিজেই করেছেন। বানিয়াচং উপজেলার ৩নং দক্ষিন-পূর্ব ইউনিয়নের নতুনবাজার সংলগ্ন স্থানে খাদ্য গুদামের অবস্থান।

খাদ্য গুদামের বাউন্ডারীর ভিতরে তিনটি গুদাম বিল্ডিং রয়েছে ও অতিরিক্ত ভূমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।বানিয়াচং উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ খবির উদ্দিন অতিরিক্ত ও পরিত্যক্ত ভূমিকে কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পনা করেন এবং বঙ্গবন্ধু‘র শত‘তম জন্মবার্ষিকী স্মরনীয় করে রাখতে বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯আগস্ট বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে গাছের চারা রোপন কাজের উদ্ধোধন করা হয়েছে।বানিয়াচং উপজেলার নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা গাছের চারা রোপন কাজের উদ্ধোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ খবির উদ্দিন আহমেদ,আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম,প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া,উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম,খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসীম কুমার তালুকদার,মিল মালিক ছামির আলী ও সোহেল মিয়া প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি মখলিছ মিয়া, তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডট কম সম্পাদক শিব্বির আহমেদ আরজু। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ খবির উদ্দিন জানান, খাদ্য গুদামের বাউন্ডারীর ভিতরে প্রচুর জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার বিষয়টি আমাকে ভাবায়। তাই ভাবলাম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী স্মরনীয় করে রাখতে একশত গাছের চারা রোপন করবো।

বিষয়টি নিয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি।গাছ রোপন করার মত কোন বরাদ্ধ না থাকার কারনে আমি নিজেই নিজের পকেটের টাকায় গাছ ক্রয় করেছি। এগুলি পরিচর্যার জন্য ও ব্যয়ভার আমিই বহন করবো। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা সবাই যদি এভাবে ভালো কাজ করার জন্য এগিয়ে আসি তাহলে এক সময় মন্দ কাজ কমে যাবে।