শায়খ মাওলানা কামাল উদ্দীন আল হুসাইনী : যে নিজে ছাহেব, যার বাবা ছাহেব, দাদা ছাহেব, বড় বাবা ছাহেব ; তার কাছে ছাহেবজাদার গান গেতে এসো না!
ছাহেবজাদা কারা হয় ? ওলীর ? পীরের ? আলেমের ? জেনে রাখবেন! নিজে ছাহেব না হলে, ছাহেবজাদা হওয়া যায় না। বলুন তো ? কোন ওলী,পীর বা আলেমের সন্তান যদি পথভ্রষ্ট হয়, হয় মদ্যপায়ী বা চোর-স্বভাবের ; তবে সে কত বড় ছাহেবজাদা ?
সুতরাং ছাহেবজাদা হওয়ার বাহাদুরদেরকে বলবো ; আগে নিজে ছাহেব হোন! এর পর ছাহেবজাদা হওয়ার বাহাদুরী করুন! ও!হ্যাঁ, তবে ছাহেব হতে পারলে ছাহেবজাদা হওয়ার বাহাদুরী থাকে না।
কিছু লোক, এদেরকে মাতাল বলবো ? নাকি অর্ধ-শিক্ষিত বা ব্যক্তি-পুঁজক বলবো ? ভেবে পাচ্ছি না! কারণ, ওরা চরম দুষ্টের মত পোষ্ট ও কমেন্ট করে থাকে।
ওদেরকে বলবো, মাতাল হলে চিকিৎসা নাও! অর্ধ-শিক্ষিত হলে পূর্ণ শিক্ষা নাও! আর ব্যক্তি-পুঁজক হলে ব্যক্তি-পুঁজা ছেড়ে দাও!
সিন্ডিকেট কি গোটা সমাজ করে থাকে ? উদাহরণতঃ আলুর সিন্ডিকেট কি সমাজের সব আলু-ব্যবসায়ীরাই করে থাকে ? নাকি কোন কোন আলু-ব্যবসায়ী ? সুতরাং বলবো, কারো বক্তব্য না বুঝে মন্তব্য বা কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকা চাই। নিজেকে অতি বুঝদার মনে করতে নেই। নতুবা তুমিই সত্যিকার বুঝদার লোকদের কাছে হেয় হবে! হবে হাসির পাত্র!
আল্লাহ্ সকলকে সহীহ্ বুঝ ও শুভ বুদ্ধি দান করুন!আমীন!
লেখকঃ শিক্ষা-সচিব: মাদরাসাতুল হারামাইন, খতীব: ৩নং রাজবাড়ি জামে মসজিদ, বানিয়াচং , হবিগঞ্জ।