ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে মোবাইল কোর্টে ৩ ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা Logo বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo এমপি মজিদ খানের মধ্যস্থতায় বানিয়াচং সৈদারটুলা ছান্দের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন Logo মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ায় মুফতি হাফিজুল হককে সংবর্ধনা প্রদান Logo আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্য চড়া: ক্রেতাদের নাভিশ্বাস Logo একজন কর্মবীর সফল এমপি আব্দুল মজিদ খান Logo বানিয়াচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’কে বিদায় সংবর্ধনা Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মনজুর চৌধুরী Logo বানিয়াচংয়ে ইফা শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২০লিটার চোলাই মদ জব্দ : আটক-১

চুনারুঘাটের সাতছড়িতে বিজিবি’র অভিযান, ১৮ টি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী সাতছড়ির গহীন অরন্য থেকে আবারও বিপুল ভারী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সাতছড়ি বন থেকে এবার অস্ত্র উদ্ধার করেছে বিজিবি। বিজিবি’র ৫৫ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সামি উন নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। মঙ্গলবার(২রা মার্চ) এই অভিযানে ১৮টি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করা হয়। সামি উন নবী চৌধুরী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতছড়ির গহীন বনের একটি গোপন ব্যাংকারে গোলা বারুদ রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা সেখানে মঙ্গলবার বিকাল থেকে অবস্থান নেন। টানা ১০ ঘন্টার অভিযান শেষে রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করা হয়। সাতছড়ি বনে এতো বিপুল পরিমান গোলা বারুদ কোথা থেকে এসেছে তা জানাতে পারেননি তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, ১টি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, ১টি বেটাগান, ৬টি এসএলআর, ১টি অটো রাইফেল, ৫টি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল ও প্রায় ১৬ হাজার গুলিসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব। একই বছরের ১৬ অক্টোবর উদ্ধার করা হয় ৩টি মেশিনগান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগাজিন, ২৫০টি গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১টি রেডিও।

এর এক দিন পর ১৭ অক্টোবর আবারও উদ্ধার করা হয় এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০টি, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২টি, পিস্তলের ৫১৭টি, মেশিনগানের ৪২৫টিসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪টি বুলেট। পাশাপাশি ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার করা হয় ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট। একই বছর একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩টি আরপিজি বিস্ফোরক, ১১টি রকেট লঞ্চারের চার্জার ও ১৩টি রাবার পাইপ। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হলো ১৮টি রকেট লাঞ্চার।

২০০৩ সালে ২৭ জুন বগুড়ার কাহালুতে আনারসভর্তি ট্রাকে (নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৩৩৬৬) যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধরা পড়েছিল, এ অস্ত্রের চালানটি সাতছড়ি থেকে গিয়েছিল। সে সময়ে ওই গাড়ির চালক বাহুবলের আলতু মিয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনার সঙ্গে সাতছড়ি টিপরা বস্তির হেডম্যান যোগেশ দেব বর্মার ভাতিজা আশীষ দেব বর্মা জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে চার্জশিট হয়। তবে এখন পর্যন্ত আশিষ দেব বর্মাকে আটক করতে পারেনি আইন শৃংখলা বাহিনী।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে মোবাইল কোর্টে ৩ ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

চুনারুঘাটের সাতছড়িতে বিজিবি’র অভিযান, ১৮ টি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার

আপডেট সময় ১১:১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী সাতছড়ির গহীন অরন্য থেকে আবারও বিপুল ভারী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সাতছড়ি বন থেকে এবার অস্ত্র উদ্ধার করেছে বিজিবি। বিজিবি’র ৫৫ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সামি উন নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। মঙ্গলবার(২রা মার্চ) এই অভিযানে ১৮টি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করা হয়। সামি উন নবী চৌধুরী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতছড়ির গহীন বনের একটি গোপন ব্যাংকারে গোলা বারুদ রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা সেখানে মঙ্গলবার বিকাল থেকে অবস্থান নেন। টানা ১০ ঘন্টার অভিযান শেষে রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করা হয়। সাতছড়ি বনে এতো বিপুল পরিমান গোলা বারুদ কোথা থেকে এসেছে তা জানাতে পারেননি তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, ১টি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, ১টি বেটাগান, ৬টি এসএলআর, ১টি অটো রাইফেল, ৫টি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল ও প্রায় ১৬ হাজার গুলিসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব। একই বছরের ১৬ অক্টোবর উদ্ধার করা হয় ৩টি মেশিনগান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগাজিন, ২৫০টি গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১টি রেডিও।

এর এক দিন পর ১৭ অক্টোবর আবারও উদ্ধার করা হয় এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০টি, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২টি, পিস্তলের ৫১৭টি, মেশিনগানের ৪২৫টিসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪টি বুলেট। পাশাপাশি ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার করা হয় ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট। একই বছর একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩টি আরপিজি বিস্ফোরক, ১১টি রকেট লঞ্চারের চার্জার ও ১৩টি রাবার পাইপ। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হলো ১৮টি রকেট লাঞ্চার।

২০০৩ সালে ২৭ জুন বগুড়ার কাহালুতে আনারসভর্তি ট্রাকে (নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৩৩৬৬) যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধরা পড়েছিল, এ অস্ত্রের চালানটি সাতছড়ি থেকে গিয়েছিল। সে সময়ে ওই গাড়ির চালক বাহুবলের আলতু মিয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনার সঙ্গে সাতছড়ি টিপরা বস্তির হেডম্যান যোগেশ দেব বর্মার ভাতিজা আশীষ দেব বর্মা জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে চার্জশিট হয়। তবে এখন পর্যন্ত আশিষ দেব বর্মাকে আটক করতে পারেনি আইন শৃংখলা বাহিনী।