মোঃ দেলোয়ার ফারুক তালুকদার শাহজাহান : আমার বাবা প্রায়ই একটা কথা বলতেন যে, ঘরে ভাত থাকলে গাছের নীচে বসেও খাওয়া যায়। যদিও আমি বাবার মুখে শুনেছি কি না মনে নেই, মাত্র ১০ বছর বয়সে আমি পিতৃহীন হয়েছিলাম। যাক সে কথা।
বলছিলাম করোনার কারনে আমরাদেরসহ সারা বিশ্বের মানুষকে সামাজিক তথা শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হচ্ছে। আর কতদিন চলবে তাও আমাদের জানা নেই। এক আল্লাহ ই জানেন। এই দুরত্ব বজায় রাখার দরুন আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।ফলে হাতের অর্থ ব্যয় হয়ে আর ধার কর্জের আওতায় চলে গেছি। যারা ধনী তাদের কথা ভিন্ন। যারা ছোট চাকরি করতেন এবং গ্রামেই শিঁকড় তাদের জন্য ই এ লেখা। যদিও আমরা বলে থাকি কৃষি ও কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এবার বিষয়টি একেবারে সত্য ধনী গরীব সবার জন্য। কারন করোনার ধাক্কায় অর্থনীতি বেশ বড় রকমের ঝাঁকুনি খেয়েছে এবং আরও খাবে। তাই আমরা বলছি যাদের জমি আছে যেভাবে পারেন যে ফসল হয় তাই চাষাবাদ করুন।
যাদের জমি নেই তারা বর্গা নিয়ে হলেও চাষাবাদ করুন। ক্ষেতের আইল, বাড়ির উঠোনে, ঝোঁপঝাড় যা খালি জায়গা আছে সেখানে যা পারা যায় তাই লাগান। আল্লাহ আমাদেরকে এক উর্বর সুজলা- সুফলা দেশ দিয়েছেন। এতে যা রোপণ করেন আল্লাহর রহমতে তাই যথেষ্ট ভালো হয়। আর যদি আমরা এভাবে চাষাবাদ করি তাহলে আমাদের অন্তত অভাব অনটনে দূর্ভোগ পোহাতে হবে না।
তাই রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী, সাংবাদিক তদুপরি সরকারের সকল পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা ও অন্যান্য পেশার লোকজন কৃষক তথা কৃষি কাজের সাথে জড়িত সবাইকে সব জমিতে চাষাবাদ করার উৎসাহ প্রদান ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে দেশ ও জনগণকে দূর্ভোগ এর হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করা উচিত।
আর উদ্বৃত্ত হলে আমরা এর মাধ্যমে অন্য দেশের লোকজনকে সহায়তা করতে পারব আর আয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা, ইনশাআল্লাহ।
লেখক : আইনজীবি, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও জজ কোর্ট হবিগঞ্জ ।