ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্ছ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : এমপি মজিদ খান Logo ভূমি ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে: এমপি মজিদ খান Logo আরাকান রাজ্যের ইতিহাস Logo বানিয়াচংয়ে ব্যবসায়ী নেতা মতিউর রহমান মতির উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বানিয়াচংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ৬ হাজার টাকা জরিমানা Logo মিরপুর ইসলামী একাডেমীর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ের তাহমিদুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নিযুক্ত Logo বানিয়াচংয়ে ফের সংঘর্ষ : ১জন নিহত Logo বানিয়াচংয়ে আইডিয়েল কলেজের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে ভূমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন

করোনাকালের ভাবনা

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

তাহমিনা বেগম গিনি : কেউ একজন বলেছেন, এ সময়ে লাভ, লোকসান,পার্থিব কোনো কিছুর হিসেব করে লাভ নেই।এখন বেঁচে থাকাটাই বড় লাভ””। ভেবে দেখলাম আসলে কথাটি অনেক মূল্যবান।আলহামদুলিল্লাহ,এখনো বেঁচে আছি।তাই লিখতে পারছি।কিন্তু আমরা অনেক আপনজন হারিয়েছি দেশে কিংবা বিদেশে।করোনাকাল একেকজন একেক ভাবে কাটাচ্ছেন,জীবন-জীবিকা,ভিন্ন ভিন্নভাবে অতিবাহিত করছেন। আমি যেহেতু একজন নারী, তাই নারীরা কেমন আছেন, কেমন কাটাচ্ছেন একটু ভাবতে পারি। চাকুরিজীবি নারীরা ছাড়া আমাদের সমাজের বেশী অংশ নারী গৃহিনী।চাকুরীর ওরকম ভেদ আছে,যেমন অফিস,আদালত,ব্যাংক,বীমা,ডাক্তার,শিক্ষক,কল-কারখানা,পুলিশ,সেনাবাহিনী,দফাদারসহ  সর্বক্ষেত্রেই নারীরা বর্তমান।গত চার পাঁচ মাস জরুরী দপ্তর ছাড়া সবাই গৃহবন্দী ছিলেন।এখন বেশ কিছু স্বাভাবিক হলেও শিক্ষকবৃন্দ এখনো ঘরেই আছেন।কথা আছে যে মেয়েরা একবার চাকুরীর স্বাদ পায় তাদের ঘরে থাকতে ভালোলাগে না।সত্য কতখানি তারাই বলতে পারবেন।তবে এই করোনাকালে সবচেয়ে বেশী কস্ট পেয়েছেন গৃহিনী নারীরা।একতো গৃহ বন্দী,তার উপর কাজের বুয়া নেই। ছেলেমেয়ের স্কুল কলেজ বন্ধ,গৃহকর্তা বাসায় অস্টপ্রহর। বাসায় বয়স্কজন থাকলে আরো কাজ। উচিত এমন সময়পরিবারের সবার কাজ করা।কিন্তু আমরা ক’টা সংসারে এমন করেছি বা এখনো করছি।যারা স্ত্রীকে,সাহায্য করেছেন তাদের সাধুবাদ জানাই।কিন্তুু বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই সময় নারী নির্যাতন ও যৌন নির্যাতন অনেক পরিমাণে বেড়ে গেছে ।গৃহবন্দী বয়স্ক মহিলারা আরো বেশী শৃঙ্খলিত হয়ে পড়েছেন।সরকার সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু করোনার সংক্রমন বেড়েই চলেছে।শহর ছাড়িয়ে এখন গ্রামে থাবা বসিয়েছে ঈদের পরে।আজকাল রাস্তাঘাটে কিছুকিছু মহিলা দেখা যায় কিন্তু সবাই  স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন না।করোনা কবে যাবে কেউ জানে না।হয়তো তাকে সঙ্গী করেই আমাদের চলতে হবে। সেজন্য জীবন যাপনের ধারাও বদলাতে হবে।শুধু সংসার দেখার দায়িত্ব মা’দের একার নয়।বাবা,ছেলে,মেয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে মার পাশে। তবেই করোনাকাল দূর্বিষহ না হয়ে গৃহকোণ পারিবারিক আনন্দে ভরে উঠবে।সবাই স্বাস্থবিধি মেনে চলি এবং পরিবারের সবাই সুস্থ থাকি।
আগামীতে করোনাকালে শিশুরা কেমন আছে সেই লেখার আশায় রইলাম।

লেখক : কবি ও সাহিত্যিক, হবিগঞ্জ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্ছ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : এমপি মজিদ খান

করোনাকালের ভাবনা

আপডেট সময় ০৫:৩৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০

তাহমিনা বেগম গিনি : কেউ একজন বলেছেন, এ সময়ে লাভ, লোকসান,পার্থিব কোনো কিছুর হিসেব করে লাভ নেই।এখন বেঁচে থাকাটাই বড় লাভ””। ভেবে দেখলাম আসলে কথাটি অনেক মূল্যবান।আলহামদুলিল্লাহ,এখনো বেঁচে আছি।তাই লিখতে পারছি।কিন্তু আমরা অনেক আপনজন হারিয়েছি দেশে কিংবা বিদেশে।করোনাকাল একেকজন একেক ভাবে কাটাচ্ছেন,জীবন-জীবিকা,ভিন্ন ভিন্নভাবে অতিবাহিত করছেন। আমি যেহেতু একজন নারী, তাই নারীরা কেমন আছেন, কেমন কাটাচ্ছেন একটু ভাবতে পারি। চাকুরিজীবি নারীরা ছাড়া আমাদের সমাজের বেশী অংশ নারী গৃহিনী।চাকুরীর ওরকম ভেদ আছে,যেমন অফিস,আদালত,ব্যাংক,বীমা,ডাক্তার,শিক্ষক,কল-কারখানা,পুলিশ,সেনাবাহিনী,দফাদারসহ  সর্বক্ষেত্রেই নারীরা বর্তমান।গত চার পাঁচ মাস জরুরী দপ্তর ছাড়া সবাই গৃহবন্দী ছিলেন।এখন বেশ কিছু স্বাভাবিক হলেও শিক্ষকবৃন্দ এখনো ঘরেই আছেন।কথা আছে যে মেয়েরা একবার চাকুরীর স্বাদ পায় তাদের ঘরে থাকতে ভালোলাগে না।সত্য কতখানি তারাই বলতে পারবেন।তবে এই করোনাকালে সবচেয়ে বেশী কস্ট পেয়েছেন গৃহিনী নারীরা।একতো গৃহ বন্দী,তার উপর কাজের বুয়া নেই। ছেলেমেয়ের স্কুল কলেজ বন্ধ,গৃহকর্তা বাসায় অস্টপ্রহর। বাসায় বয়স্কজন থাকলে আরো কাজ। উচিত এমন সময়পরিবারের সবার কাজ করা।কিন্তু আমরা ক’টা সংসারে এমন করেছি বা এখনো করছি।যারা স্ত্রীকে,সাহায্য করেছেন তাদের সাধুবাদ জানাই।কিন্তুু বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই সময় নারী নির্যাতন ও যৌন নির্যাতন অনেক পরিমাণে বেড়ে গেছে ।গৃহবন্দী বয়স্ক মহিলারা আরো বেশী শৃঙ্খলিত হয়ে পড়েছেন।সরকার সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু করোনার সংক্রমন বেড়েই চলেছে।শহর ছাড়িয়ে এখন গ্রামে থাবা বসিয়েছে ঈদের পরে।আজকাল রাস্তাঘাটে কিছুকিছু মহিলা দেখা যায় কিন্তু সবাই  স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন না।করোনা কবে যাবে কেউ জানে না।হয়তো তাকে সঙ্গী করেই আমাদের চলতে হবে। সেজন্য জীবন যাপনের ধারাও বদলাতে হবে।শুধু সংসার দেখার দায়িত্ব মা’দের একার নয়।বাবা,ছেলে,মেয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে মার পাশে। তবেই করোনাকাল দূর্বিষহ না হয়ে গৃহকোণ পারিবারিক আনন্দে ভরে উঠবে।সবাই স্বাস্থবিধি মেনে চলি এবং পরিবারের সবাই সুস্থ থাকি।
আগামীতে করোনাকালে শিশুরা কেমন আছে সেই লেখার আশায় রইলাম।

লেখক : কবি ও সাহিত্যিক, হবিগঞ্জ।