শিব্বির আহমদ আরজু : ‘বর্ষায় নাও, হেমন্তে পাও’ এমনি অবস্থা ছিল হাওরাঞ্চল এলাকা নামে খ্যাত হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের নির্বাচনী এলাকায়। সকল এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। রাত হলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়তো পাড়া মহল্লা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল একেবারেই ভঙ্গুর। আজ সেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এর পেছনের নিপুণ কারিগর হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের ৩ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।
তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ব্রীজ-কালভার্ট, ফায়ার স্টেশন ও ক্রীড়াসহ প্রভৃতিক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন করেছেন। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিল না কোন ভবন, সেখানে বহুতল ভবন হয়েছে। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। ২টি কলেজ সরকারিকরণ হয়েছে। ফায়ার স্টেশন হয়েছে। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে উন্নীতকরণ করা হয়েছে। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম হয়েছে। রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে আর্থিক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে বহুলাংশে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিগত ইউপি নির্বাচনে উল্লেখ্যযোগ্যহারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বোপরী দলীয় নেতাকর্মীদের দু:সময়ে নি:সংকোচ চিত্তে পাশে দাঁড়ানোসহ জনসাধারণের পাশে থেকে উন্নয়ন কাজকে ত্বরান্বিত করেছেন তিনি। একদিকে জাতীয় সংসদে যেমনিভাবে ধারাবাহিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তেমনিভাবে নির্বাচনী এলাকাকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও সহিংসতামুক্ত রাখতে রোধ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে শালিস বিচারের মাধ্যমে অসামান্য অবদান রেখেছেন। এসব ভাবনা জনসাধারণের। দল-বল নির্বিশেষে এমপি আব্দুল মজিদ খানকে নিপাট ভদ্র ও বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে ভাবছেন ২ উপজেলার সচেতন জনগণ। তিনি যেমনিভাবে ধৈর্য ও সহনশীল রাজনীতিবিদ, তেমনিভাবে দূরদর্শিও।
এ ব্যাপারে এমপি আব্দুল মজিদ খান তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে টানা ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার পর পরই ২ উপজেলার সমস্যা চিহ্নিত করে কাজ করছি এবং জনগণের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চাচ্ছেন ২০৪১ সালে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। দেশ আজ উন্নয়নের শিখরে আরোহণ করছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আবারও নৌকা মার্কার সরকারকে ক্ষমতায় আসীন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।