ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo এমপি মজিদ খানের মধ্যস্থতায় বানিয়াচং সৈদারটুলা ছান্দের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন Logo মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ায় মুফতি হাফিজুল হককে সংবর্ধনা প্রদান Logo আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্য চড়া: ক্রেতাদের নাভিশ্বাস Logo একজন কর্মবীর সফল এমপি আব্দুল মজিদ খান Logo বানিয়াচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’কে বিদায় সংবর্ধনা Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মনজুর চৌধুরী Logo বানিয়াচংয়ে ইফা শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২০লিটার চোলাই মদ জব্দ : আটক-১ Logo প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হলেন গোটা জাতির জন্য উত্তম আদর্শ

এমপিওভূক্তির দাবিতে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের মানববন্ধন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির দাবীতে হবিগঞ্জে মানববন্ধন করেছে শিক্ষকরা। বুধবার ( ৮ জুলাই)  হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম হবিগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক প্রভাষক মহিবুর রহমান, শিব্বির আহমদ, নজরুল ইসলাম, তাপস পাল অসিম,খাদিজা আক্তার, আসমা আক্তার হ্যাপি, জনি দাশ, রনি সেন,অনুপ চৌধুরী, রামকৃষ্ণ দাশ,মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,দেশের উচ্চশিক্ষা গ্রাম অঞ্চলের গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ১৯৯২ সাল হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেসরকারি কলেজ গুলোতে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয় । কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের “জনবল কাঠামো/ সরকারি নীতিমালাতে ” অন্তর্ভুক্ত না করা ।
দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শিক্ষকেরা বেতন বঞ্চনার শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শুধু মাত্র জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে শিক্ষকেরা বছরের পর বছর ধরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সংশোনাধীন জনবল কাঠামো সংশোধন কমিটির প্রথম মিটিংয়ে সকল সদস্য বেসরকারি অনার্স মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে বিষয়টি উপেক্ষিত হতে যাচ্ছে । বর্তমান করোনা মহামারীর তান্ডবে উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকগণ জীবন জীবিকা আজ কঠিন সমীকরণে।
বক্তারা আরও বলেন যে,১৯৯৫,২০১০,২০১৩ এবং ২০১৮ তে জনবল কাঠামো সংশোধন করা হলেও আমাদের দাবি সমসময় উপেক্ষা করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি বিধি মোতাবেক একজন শিক্ষকের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় এবং নিয়োগ ও মৌখিক পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত হয়।
শুরুতে কলেজের সংখ্যা গুটি কয়েক হলেও ২০১৮ সাল পর্যন্ত তা ৫০০ ছাড়িয়ে যায় । ২০১৮ সালে বেসরকারি কলেজগুলো জাতীয়করণ করার পর বতর্মানে অনার্স-মাস্টার্স পাঠদানরত কলেজের সংখ্যা ৩১৫ টি। দীর্ঘ আটাশ বৎসরের বঞ্চনার এই দাবী আদায়ে আমরা বিভিন্ন সময় সভা, সমাবেশ, মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছি।অথচ বাৎসরিক প্রায় ১০০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা করচ করলে সরকার আমাদের এমপিও দিতে পারেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের আহবায়ক প্রভাষক মহিবুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় কতৃক শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনটি নির্দেশনা (২০১৪\২০১৭\২০১৯) প্রদান করেন এবং দশম জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১১ ও ১২তম বৈঠকে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে দুটি সুপারিশ প্রদান করেন ।তাছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক দুজন মহাপরিচালক জনাব প্রফেসর ফাহিমা খাতুন/২০১৫ ও জনাব প্রফেসর এস এম ওয়াহিদুজামান/২০১৭ মহোদয়গণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে বেসরকারি অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির জন্য সুপারিশ সহ আর্থিক খরচ কত হবে তা জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেন । কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রনালয় সেই চিঠি আজও আমলে না নিয়ে শিক্ষকদের বেতন বঞ্চিত করে রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের
নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় ২০১৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়কে বেসরকারি অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের শিক্ষা নীতিমালাতে অন্তর্ভুক্ত ও এমপিওভুক্তির বিষয়ে মতামত চেয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় এখন পর্যন্ত উক্ত চিঠির কোন জবাব দেননি । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবহেলার কারণেও শিক্ষকেরা জনবল কাঠামো ও এমপিও বঞ্চিত হচ্ছেন।একই সরকারি নিয়ম ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের পূর্বের শিক্ষকেরা ক্যাডার মর্যাদা লাভ করেছেন। এছাড়া সদ্য জাতীয়করণ কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকেরা জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পেয়ে নন-ক্যাডার হতে চলেছেন। অথচ বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকেরা নূন্যতম এমপিওভুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন । যা সংবিধান পরিপন্থী ।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

এমপিওভূক্তির দাবিতে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৩:০৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির দাবীতে হবিগঞ্জে মানববন্ধন করেছে শিক্ষকরা। বুধবার ( ৮ জুলাই)  হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম হবিগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক প্রভাষক মহিবুর রহমান, শিব্বির আহমদ, নজরুল ইসলাম, তাপস পাল অসিম,খাদিজা আক্তার, আসমা আক্তার হ্যাপি, জনি দাশ, রনি সেন,অনুপ চৌধুরী, রামকৃষ্ণ দাশ,মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,দেশের উচ্চশিক্ষা গ্রাম অঞ্চলের গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ১৯৯২ সাল হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেসরকারি কলেজ গুলোতে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয় । কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের “জনবল কাঠামো/ সরকারি নীতিমালাতে ” অন্তর্ভুক্ত না করা ।
দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শিক্ষকেরা বেতন বঞ্চনার শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শুধু মাত্র জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে শিক্ষকেরা বছরের পর বছর ধরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সংশোনাধীন জনবল কাঠামো সংশোধন কমিটির প্রথম মিটিংয়ে সকল সদস্য বেসরকারি অনার্স মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে বিষয়টি উপেক্ষিত হতে যাচ্ছে । বর্তমান করোনা মহামারীর তান্ডবে উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকগণ জীবন জীবিকা আজ কঠিন সমীকরণে।
বক্তারা আরও বলেন যে,১৯৯৫,২০১০,২০১৩ এবং ২০১৮ তে জনবল কাঠামো সংশোধন করা হলেও আমাদের দাবি সমসময় উপেক্ষা করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি বিধি মোতাবেক একজন শিক্ষকের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় এবং নিয়োগ ও মৌখিক পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত হয়।
শুরুতে কলেজের সংখ্যা গুটি কয়েক হলেও ২০১৮ সাল পর্যন্ত তা ৫০০ ছাড়িয়ে যায় । ২০১৮ সালে বেসরকারি কলেজগুলো জাতীয়করণ করার পর বতর্মানে অনার্স-মাস্টার্স পাঠদানরত কলেজের সংখ্যা ৩১৫ টি। দীর্ঘ আটাশ বৎসরের বঞ্চনার এই দাবী আদায়ে আমরা বিভিন্ন সময় সভা, সমাবেশ, মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছি।অথচ বাৎসরিক প্রায় ১০০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা করচ করলে সরকার আমাদের এমপিও দিতে পারেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের আহবায়ক প্রভাষক মহিবুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় কতৃক শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনটি নির্দেশনা (২০১৪\২০১৭\২০১৯) প্রদান করেন এবং দশম জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১১ ও ১২তম বৈঠকে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে দুটি সুপারিশ প্রদান করেন ।তাছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক দুজন মহাপরিচালক জনাব প্রফেসর ফাহিমা খাতুন/২০১৫ ও জনাব প্রফেসর এস এম ওয়াহিদুজামান/২০১৭ মহোদয়গণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে বেসরকারি অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির জন্য সুপারিশ সহ আর্থিক খরচ কত হবে তা জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেন । কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রনালয় সেই চিঠি আজও আমলে না নিয়ে শিক্ষকদের বেতন বঞ্চিত করে রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের
নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় ২০১৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়কে বেসরকারি অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের শিক্ষা নীতিমালাতে অন্তর্ভুক্ত ও এমপিওভুক্তির বিষয়ে মতামত চেয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় এখন পর্যন্ত উক্ত চিঠির কোন জবাব দেননি । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবহেলার কারণেও শিক্ষকেরা জনবল কাঠামো ও এমপিও বঞ্চিত হচ্ছেন।একই সরকারি নিয়ম ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের পূর্বের শিক্ষকেরা ক্যাডার মর্যাদা লাভ করেছেন। এছাড়া সদ্য জাতীয়করণ কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকেরা জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পেয়ে নন-ক্যাডার হতে চলেছেন। অথচ বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকেরা নূন্যতম এমপিওভুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন । যা সংবিধান পরিপন্থী ।