আবুল কালাম আজাদ, যুক্তরাজ্য থেকে : প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। আর যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা সততা ও সাহসীকতার সাথে ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। আজ এমনই একজন সমাজ সেবককে নিয়ে কথা বলব। যিনি অনেক বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি (উপজেলা চেয়ারম্যান) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি হলেন আমার প্রিয় জন্মভূমি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তারপরও মানুষের প্রত্যাশা থাকে। তিনি, তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আবুল কাশেম চৌধুরী এ কাজ গুলোতে সফল ও হয়েছেন। সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সহযোগিতার আশাও ব্যক্ত করে চলেছেন। সর্বোপরি গণমাধ্যমও তাঁকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতা পাওয়ায় তিনি আজ বানিয়াচং উপজেলার সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন। তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয়। তিনি অনেক প্রবীণ। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। এসকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সে সব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার অমিত সাহস, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা- ঘাটের উন্নয়ন,মানব সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাঁর সাথে দলের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হয়েছে। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী। ব্যক্তি জীবনে তিনি নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল। তাঁর মাঝে কোন অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে সমাদৃত। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। যেভাবে জানবাজি রেখে করোনার সময় (প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত) সাধারণ মানুষের জন্য করেছেন তা এক কথায় বিরল। এসময় অনেকেই বাড়িতে বসে বসে সময় পার করেছেন। আর তিনি ছুটে চলেছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। এভাবে বন্যার সময়ও তিনি ছুটে চলেছেন বানবাসী মানুষের পাশে। যা গণমাধ্যমের সুবাদে সুদূর যুক্তরাজ্য থেকে আমরা দেখতে পেয়েছি। এ সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান সব সময়। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা বা চেয়ারম্যান বুঝি না। কাশেম ভাই একজন ভালো মানুষ। তিনি একজন সৎ ও কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি চেয়ারম্যান পদে থাকলে আমাদের তথা উপজেলার উপকার হবে। আমাদের দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং মেধাবী নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সর্বশ্রেণির মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। আজ এ প্রিয় মানুষটির জন্মদিন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা।
লেখক : সাংবাদিক, যুক্তরাজ্য থেকে।