তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক : 
তরঙ্গ ডেস্ক : দখলদার ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস উদ্বোধন করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে চারটি আরব দেশ অর্থাৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান, বাহরাইন ও মরক্কো ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে সমঝোতা পত্রে সই করেছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতই প্রথম দেশ যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে চুক্তিতে সই করেছিল।
সেপ্টেম্বরে সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকেই আমিরাত ও ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হয় এবং দু’পক্ষের বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের সফর বিনিময় অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত ইসরাইলের হাজার হাজার পর্যটক সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছে। ইসরাইল আবুধাবিতে দূতাবাস স্থাপন করা ছাড়াও দুবাইতে কনস্যুলেট স্থাপনের চেষ্টা করছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সর্বাত্মক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিস্তারের এই পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তারা সম্পর্ক আরও গভীর করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার কারণে ইসরাইলের সাথে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু সুদান ও মরক্কোর তুলনায় মানামা ও আবুধাবি সরকারের এ ব্যাপারে অতি উৎসাহের পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে।
আমিরাত এমন সময়ে দখলদার ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা বিস্তারের চেষ্টা করছে যখন দখলদার ইসরাইল গত দুই বছর ধরে চরম অভ্যন্তরীণ সংকটে জর্জরিত। ৩১ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরাইলের নাগরিকরা তাদের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিরতিহীনভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে।
এদিকে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর তুরস্কে বসবাসকারী আমিরাতের রাজনৈতিক কর্মী হামাদ আলে শামস বলেছেন, আমিরাতে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে যারাই বিরোধিতা করবে তাদেরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে।
সূত্র: পার্সটুডে
