ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা Logo সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি

আজ খুলছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীঘ প্রায় ৮ মাস বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার খুলছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এর ফলে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে বন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণার পর ১৯ মার্চ থেকে দেশের অন্য জাতীয় উদ্যানের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানও বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। প্রায় ৮ মাস যাবত সাতছড়িতে পুরোপুরিভাবে বন্ধ রয়েছে পর্যটকের আনাগোনা। ফলে চিরসবুজ বনের প্রকৃতি তার সৌন্দর্য ফিরে পেয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আজ রবিবার ১ নভেম্বর থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান দশনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে, মন্ত্রনালয় থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা আমাদের জানানো হয়েছে।
জাতীয় উদ্যানের ভেতর সাতটি ছড়া বা ঝর্ণা রয়েছে যেখান থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে সাতছড়ি। এছাড়াও রয়েছে ট্রি অ্যাডভেঞ্চার। যা দিয়ে উড়ে উড়ে এক গাছ থেকে যাওয়া যায় অন্য গাছে। ছড়ার পথে হাঁটতে হাঁটতে চারদিকে চোখ রাখলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি ও নাম না জানা অসংখ্য লতাপাতা। ২০০৯ সাল থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সরকার প্রবেশ মুল্য চালূ করে। বর্তমানে প্রবেশমুল্য প্রাপ্ত বয়স্ক ৩৩.৫০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২৩ টাকা।
জাতীয় উদ্যানের অভ্যন্তরে টিপরা পাড়ায় একটি পাহাড়ি উপজাতির ২৪টি পরিবার বাস করে। এই ক্রান্তীয় ও মিশ্র চিরহরিৎ পাহাড়ি বনভূমি ভারতীয় উপমহাদেশ এবং উন্দো-চীন অঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থিত। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে প্রায় ২শ’রও বেশি প্রজাতির গাছপালা।
এ উদ্যানে ১৯৭ প্রজাতির জীব-জন্তু রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৪ প্রজাতির স্থ্যন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ ও ছয় প্রজাতির উভচর। আরও আছে প্রায় ১৫০-২০০ প্রজাতির পাখি। এটি বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং পাখিদের একটি অভয়াশ্রম। বনে লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, কুলু বানর, মেছো বাঘ, মায়া হরিণ ইত্যাদি। সরীসৃপের মধ্যে সাপ, পাখির মধ্যে কাও ধনেশ, বনমোরগ, লালমাথা ট্রগন, কাঠ ঠোকরা, ময়না, ভিমরাজ, শ্যামা, ঝুটিপাঙ্গা, শালিক, হলুদ পাখি, টিয়া প্রভৃতির আবাস রয়েছে। এছাড়া গাছে গাছে আশ্রয় নিয়েছে অগণিত পোকামাকড়। এদের মধ্যে অন্যতম ঝিঁঝিঁপোকা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

আজ খুলছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

আপডেট সময় ০৩:৩৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীঘ প্রায় ৮ মাস বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার খুলছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এর ফলে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে বন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণার পর ১৯ মার্চ থেকে দেশের অন্য জাতীয় উদ্যানের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানও বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। প্রায় ৮ মাস যাবত সাতছড়িতে পুরোপুরিভাবে বন্ধ রয়েছে পর্যটকের আনাগোনা। ফলে চিরসবুজ বনের প্রকৃতি তার সৌন্দর্য ফিরে পেয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আজ রবিবার ১ নভেম্বর থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান দশনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে, মন্ত্রনালয় থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা আমাদের জানানো হয়েছে।
জাতীয় উদ্যানের ভেতর সাতটি ছড়া বা ঝর্ণা রয়েছে যেখান থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে সাতছড়ি। এছাড়াও রয়েছে ট্রি অ্যাডভেঞ্চার। যা দিয়ে উড়ে উড়ে এক গাছ থেকে যাওয়া যায় অন্য গাছে। ছড়ার পথে হাঁটতে হাঁটতে চারদিকে চোখ রাখলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি ও নাম না জানা অসংখ্য লতাপাতা। ২০০৯ সাল থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সরকার প্রবেশ মুল্য চালূ করে। বর্তমানে প্রবেশমুল্য প্রাপ্ত বয়স্ক ৩৩.৫০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২৩ টাকা।
জাতীয় উদ্যানের অভ্যন্তরে টিপরা পাড়ায় একটি পাহাড়ি উপজাতির ২৪টি পরিবার বাস করে। এই ক্রান্তীয় ও মিশ্র চিরহরিৎ পাহাড়ি বনভূমি ভারতীয় উপমহাদেশ এবং উন্দো-চীন অঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থিত। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে প্রায় ২শ’রও বেশি প্রজাতির গাছপালা।
এ উদ্যানে ১৯৭ প্রজাতির জীব-জন্তু রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৪ প্রজাতির স্থ্যন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ ও ছয় প্রজাতির উভচর। আরও আছে প্রায় ১৫০-২০০ প্রজাতির পাখি। এটি বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং পাখিদের একটি অভয়াশ্রম। বনে লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, কুলু বানর, মেছো বাঘ, মায়া হরিণ ইত্যাদি। সরীসৃপের মধ্যে সাপ, পাখির মধ্যে কাও ধনেশ, বনমোরগ, লালমাথা ট্রগন, কাঠ ঠোকরা, ময়না, ভিমরাজ, শ্যামা, ঝুটিপাঙ্গা, শালিক, হলুদ পাখি, টিয়া প্রভৃতির আবাস রয়েছে। এছাড়া গাছে গাছে আশ্রয় নিয়েছে অগণিত পোকামাকড়। এদের মধ্যে অন্যতম ঝিঁঝিঁপোকা।