ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা Logo সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি

আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৮৭৪ আর্মেনীয় যোদ্ধা নিহত

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

তরঙ্গ ডেস্ক : বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সেনাসদস্যদের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ চলছে।ইতিমধ্যেই বেশ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে আর্মেনীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার আর্মেনীয় বাহিনীর ৪০ যোদ্ধা হতাহত হয়েছে।এনিয়ে ২৭ সেপ্টম্বর থেকে অস্বীকৃত নাগোরনো-কারাবাখ কতৃর্পক্ষের ৮৭৪ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

এ ছাড়া সম্প্রতি কয়েকদিনের যুদ্ধে কয়েকটি অঞ্চলে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর হামালাার মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আর্মেনিয়ান বাহিনী।ইতোমধ্যে আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর রিজার্ভ ইউনিটের ৫৪৩তম রেজিমেন্টের সেনাসদস্যরা নাগোরনো-কারাবাখে যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এছাড়া, হাদরুতের উত্তরে আঘদারার ৫তম ডেস্ট্রোয়ার রেজিমেন্টের প্রতিরক্ষা অঞ্চলে সেনাসদস্যদের অস্ত্র রেখে এবং পিছুহটতে তাদের আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনরা আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে কারাবাখের জাবরাইল প্রদেশে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর একের পর এক আক্রমণের মুখে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েছে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ৫৫৬ রেজিমেন্ট।

 

ছবি- আজারবাইজানের ট্যাংক।

যুদ্ধরত ওই অঞ্চলটিতে ব্যবহৃত বেশ কিছু ট্যাংক রেখে পালিয়ে যায় শত্রুপক্ষ। এছাড়া আরও কয়েকটি অঞ্চলে তীব্র আক্রমণের মুখে আর্মেনীয় বাহিনী সামরিক যানবহন, গোলাবারুদ, রকেট লাঞ্চার, বিভিন্ন ধরনে অস্ত্র, গুলিসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামাদি ফেলে যায়।

এছাড়া মঙ্গলবার রাত থেকে আঘদারা, ফুজুলি, জাবরাইল এবং গুবাদলি এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এসব এলাকায় ব্যাপক আকারে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে আর্মেনীয় বাহিনী। তাদের বেশ কিছু গোলাবারুদ ও বাহিনীর সদস্যদের প্রাণহানি ঘটে।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়।পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।

১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।

দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। এরপরই দুই দেশের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে।ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। সূত্র : দৈনিক যুগান্তর

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৮৭৪ আর্মেনীয় যোদ্ধা নিহত

আপডেট সময় ০৩:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০

তরঙ্গ ডেস্ক : বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সেনাসদস্যদের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ চলছে।ইতিমধ্যেই বেশ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে আর্মেনীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার আর্মেনীয় বাহিনীর ৪০ যোদ্ধা হতাহত হয়েছে।এনিয়ে ২৭ সেপ্টম্বর থেকে অস্বীকৃত নাগোরনো-কারাবাখ কতৃর্পক্ষের ৮৭৪ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

এ ছাড়া সম্প্রতি কয়েকদিনের যুদ্ধে কয়েকটি অঞ্চলে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর হামালাার মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আর্মেনিয়ান বাহিনী।ইতোমধ্যে আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর রিজার্ভ ইউনিটের ৫৪৩তম রেজিমেন্টের সেনাসদস্যরা নাগোরনো-কারাবাখে যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এছাড়া, হাদরুতের উত্তরে আঘদারার ৫তম ডেস্ট্রোয়ার রেজিমেন্টের প্রতিরক্ষা অঞ্চলে সেনাসদস্যদের অস্ত্র রেখে এবং পিছুহটতে তাদের আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনরা আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে কারাবাখের জাবরাইল প্রদেশে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর একের পর এক আক্রমণের মুখে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েছে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ৫৫৬ রেজিমেন্ট।

 

ছবি- আজারবাইজানের ট্যাংক।

যুদ্ধরত ওই অঞ্চলটিতে ব্যবহৃত বেশ কিছু ট্যাংক রেখে পালিয়ে যায় শত্রুপক্ষ। এছাড়া আরও কয়েকটি অঞ্চলে তীব্র আক্রমণের মুখে আর্মেনীয় বাহিনী সামরিক যানবহন, গোলাবারুদ, রকেট লাঞ্চার, বিভিন্ন ধরনে অস্ত্র, গুলিসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামাদি ফেলে যায়।

এছাড়া মঙ্গলবার রাত থেকে আঘদারা, ফুজুলি, জাবরাইল এবং গুবাদলি এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এসব এলাকায় ব্যাপক আকারে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে আর্মেনীয় বাহিনী। তাদের বেশ কিছু গোলাবারুদ ও বাহিনীর সদস্যদের প্রাণহানি ঘটে।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়।পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।

১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।

দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। এরপরই দুই দেশের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে।ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। সূত্র : দৈনিক যুগান্তর