মোঃ আশিকুর রহমান, আজমিরীগঞ্জ থেকে : আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাট-বাজারে মাছের পাশাপাশি হু হু করে বাড়ছে বিভিন্ন সবজি,আলু,ব্রয়লার মোরগ, ডিম,চিনি,পেঁয়াজ,রসুন,এল,পি,জি গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্য।সরকার মূল্য নির্ধারণের পরেও কমেনি আলু,পেঁয়াজ আর ডিমের মূল্য। যা এখন আকাশ ছোঁয়া ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।।গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এতে করে পড়েছেন মহা বিপাকে।
সবজির মূল্য বেড়ে হয়েছে গ্রায় দ্বিগুণ ।পণ্যের মূল্যে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ নাভীশ্বাস। এক সপ্তাহ আগে পটল,জিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ভরবটি, টমেটো, কাঁচামরিচ, ধনিয়া পাতা,লাউ,মিষ্টি কুমড়া,চাল কুমড়া,কচু,কঁচুর লতা,কচুর চড়া,কাঁচা পেপে,ঢেঁড়শ,কাঁচকলা,করলা, বেগুন, আলুসহ অন্যান্য সবজি যে মূল্যে বিক্রি হতো বর্তমানে প্রতিটি পণ্যেরই কেজিতে মূল্য বেড়ে গেছে।
সবজির সাথে তাল মিলয়ে বাড়ছে পেঁয়াজ,রসুন,আদার ঝাঁজ। পাশাপাশি চিনি ও মাছের মূল্য বাড়ছেই। অপরদিকে কিছুদিন আগে রান্নার এল,পি,জি প্রতি সিলিন্ডার গ্যাস সরকারিভাবে ৯৯৯ টাকা দরে বিক্রি করার সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হলেও বর্তমানে প্রতিটি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১২৮০ থেকে ১৩২০ টাকা।
সরেজমিনে আজমিরীগঞ্জ জলসুখা ,শিবপাশাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির খুচরা মূল্য জানা যায়, কাঁচামরিচ ১০০, টমেটো ১০০, করলা ৫০, পেঁপে ২০, পটল ৪০, মুলা ৪০, বেগুন ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, কাকরুল ৬০ জিঙা ৭০, নতুন মুকি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে দেশীয় হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৬৫ টাকা,দেশীয় মুরগীর ডিম ৮০ টাকা,লেয়ার বা লালডিম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হালি ধরে বিক্রি হচ্ছে।
কয়দিন আগেও যে ব্রয়লার মুরগী ১২০/১৩০ টাকা বিক্রি হতো তা এখন প্রতি কেজি ১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আজমিরীগঞ্জ প্রশাসন থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে বলায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আলু। আজমিরীগঞ্জ বাজারে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে । অনান্য গায়ের বাজারে ৫০টাকা মূল্যে আলু বিক্রি হচ্ছে । এই নিয়ে আজমিরীগঞ্জ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ইনসাফ ট্রেডার্স এর প্রোপাইটার আনিসুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে আলু প্রতি কেজি ৩৬ টাকা বিক্রি করার জন্য যেখানে আমাদের জেলা শহর থেকে পাইকারি দর ধরা হয় ৪২ টাকা, তার সাথে যাতায়াত খরচসহ দাঁড়ায় ৪৩/৪৪ টাকা ।
আমরা বিক্রি করতে পারি ৪৫/৪৬ টাকা, যেখানে খুচরা বিক্রেতারা ৫০/৫৫ টাকা বিক্রি করতে হয়। প্রশাসনের দেয়া রেটে আলু না পাওয়ায় আমরা আলুর গাড়ি ফেরৎ দিয়েছি, আজকে বাজারে কোন আলু নেই। তবে বিক্রেতাদের দাবি দেশের পরিস্থিতির কারণে মূল্য বেশি দিয়ে আনতে হয়,তাই বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হয়।
কিন্তু ক্রেতারা বলছেন,ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মূল্য বাড়াচ্ছে।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।