ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি Logo হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল Logo পাহাড়পুরবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত জনতার এমপি আব্দুল মজিদ খান

অহংকার পতনের মূল

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

আলহাদী ॥ একদা এক দরবেশ এলাকার এক ধনাঢ্য পরিবারে হাঁক দিলেন খাবারের জন্য। ধনাঢ্য ব্যক্তিটি ছিল খুব অহংকারি এবং হিংস্র স্বভাবের। দরবেশের উপস্থিতি সহ্য হলো না তার। ধন্যাঢ্য ব্যক্তি অধীনস্থ ভৃত্যদের নির্দেশ দিলেন দরবেশকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার জন্য। যেই ভাবা সেই কাজ। কোনো কিছু খাবার না দিয়েই মালিকের নির্দেশ মতে দরবেশকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হলো। মালিকের এ আচরণে খুব ব্যথিত হন দরবেশ। সময়ের বিবর্তনে একদিন এক ভিক্ষুক হাঁক দিল আরেক বিত্তশালীর বাড়িতে। বাড়ির মালিক অধীনস্থদের নির্দেশ দিলেন ভিক্ষুককে উদর ভরে খাবার দেওয়ার জন্য। ভৃত্য খাবার নিয়ে যখন আসলো তখন চিৎকার দিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে মালিকের দরবারে পুনরায় চলে গেল। ভিক্ষুক্ষকে না দিয়ে খাবার কেন ফেরত আনা হলো তাতে ধমকালেন মালিক ?
ভৃত্য বললো, ওই যে ভিক্ষুক তিনি এক সময় আমার মালিক ছিলেন। আজ তিনি ভিক্ষুক এ জন্য কাঁদছি! মালিক বললেন, ওই পরিণতি তার প্রাপ্য ছিল, আজ সে পেয়েছে। কোনো একদিন আমি তার দরবারে গিয়েছিলাম অভুক্ত হয়ে খাবারের জন্য। হাঁক দিতেই সে তার অধীনস্থদের দিয়ে আমাকে লাঞ্চিত করেছে এবং খাবার না দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল। সে ছিল বড় অহংকারি। অসহায়-গরীব মানুষদের দেখলে হিংসা করতো। প্রতিনিয়ত ধন সম্পদের বড়াই করতো। আজ সে রাস্তার ভিখারী আর আমি বিরাট ধন-সম্পত্তির মালিক। সবকিছু মহান মালিকের ইচ্ছা। তাকে তাড়িয়ে না দিয়ে পেট ভরে খাবার দাও। সে ইচ্ছা মাফিক ভোজন করুক। তাতে কেউ বাঁধা দিবে না এ আমার নির্দেশ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া

অহংকার পতনের মূল

আপডেট সময় ০২:০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

আলহাদী ॥ একদা এক দরবেশ এলাকার এক ধনাঢ্য পরিবারে হাঁক দিলেন খাবারের জন্য। ধনাঢ্য ব্যক্তিটি ছিল খুব অহংকারি এবং হিংস্র স্বভাবের। দরবেশের উপস্থিতি সহ্য হলো না তার। ধন্যাঢ্য ব্যক্তি অধীনস্থ ভৃত্যদের নির্দেশ দিলেন দরবেশকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার জন্য। যেই ভাবা সেই কাজ। কোনো কিছু খাবার না দিয়েই মালিকের নির্দেশ মতে দরবেশকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হলো। মালিকের এ আচরণে খুব ব্যথিত হন দরবেশ। সময়ের বিবর্তনে একদিন এক ভিক্ষুক হাঁক দিল আরেক বিত্তশালীর বাড়িতে। বাড়ির মালিক অধীনস্থদের নির্দেশ দিলেন ভিক্ষুককে উদর ভরে খাবার দেওয়ার জন্য। ভৃত্য খাবার নিয়ে যখন আসলো তখন চিৎকার দিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে মালিকের দরবারে পুনরায় চলে গেল। ভিক্ষুক্ষকে না দিয়ে খাবার কেন ফেরত আনা হলো তাতে ধমকালেন মালিক ?
ভৃত্য বললো, ওই যে ভিক্ষুক তিনি এক সময় আমার মালিক ছিলেন। আজ তিনি ভিক্ষুক এ জন্য কাঁদছি! মালিক বললেন, ওই পরিণতি তার প্রাপ্য ছিল, আজ সে পেয়েছে। কোনো একদিন আমি তার দরবারে গিয়েছিলাম অভুক্ত হয়ে খাবারের জন্য। হাঁক দিতেই সে তার অধীনস্থদের দিয়ে আমাকে লাঞ্চিত করেছে এবং খাবার না দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল। সে ছিল বড় অহংকারি। অসহায়-গরীব মানুষদের দেখলে হিংসা করতো। প্রতিনিয়ত ধন সম্পদের বড়াই করতো। আজ সে রাস্তার ভিখারী আর আমি বিরাট ধন-সম্পত্তির মালিক। সবকিছু মহান মালিকের ইচ্ছা। তাকে তাড়িয়ে না দিয়ে পেট ভরে খাবার দাও। সে ইচ্ছা মাফিক ভোজন করুক। তাতে কেউ বাঁধা দিবে না এ আমার নির্দেশ।