শিব্বির আহমদ আরজু/আব্দাল মিয়া : হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যাহ বিপিএম, পিপিএম বলেছেন, হবিগঞ্জ জেলা একসময় নানাদিক থেকে পশ্চাদপদ ছিল। সেটা এখন আর নেই। এখন অমিত সম্ভাবনাময় একটি জেলায় পরিণত হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলায় একের পর এক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। খুব বেশি সময় নয় নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যেই এ জেলা সারা দেশের মধ্যে অন্যতম একটি বাণিজ্যিক জেলা হিসেবে রূপান্তরিত হবে। কী নেই হবিগঞ্জ জেলায় ? চাঁ-বাগান, রাবার বাগান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, হাওড়-বাওড়সহ নানা দিক থেকে সমৃদ্ধ একটি জেলা হচ্ছে হবিগঞ্জ। বিশেষ করে বাহুবলে অবস্থিত দ্যি প্যালেস এর মতো আন্তর্জাতিক একটি রিসোর্ট সেন্টার গড়ে উঠাতে এ জেলার সুনাম দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বহির্বিশ্বেও বিস্তৃতি ঘটেছে।

এসব অর্জন অনেকটা ম্লান হয়ে যায় গ্রাম্য দাঙ্গায়। এ ক্ষেত্রে গ্রাম্য পঞ্চায়েত ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে গ্রাম্য দাঙ্গা, মাদক, জুয়া, চুরি-ডাকাতিসহ সম্ভাবনাময় হবিগঞ্জ জেলাকে অপরাধমুক্ত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। আর এ ক্ষেত্রে হবিগঞ্জ জেলাকে মাদকমুক্ত রাখতে আমাদের হৃদয়কে সিলগালা করতে হবে। বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বানিয়াচং থানা চত্ত্বরে আয়োজিত মহল্লার ছান্দ সর্দারগণের সাথে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মাদককে না বলতে হবে। মাদকসেবী যতই মিছিল, শো-ডাউন দিক না কেন তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে। তাদেরকে মানুষ ঘৃণা করে। অপরাধী যেই হউক সে পারবে না। মুঠোফোন থেকে সন্তানদের দূরে রা খতে হবে। এই মুঠোফোন অনেকের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে, জীবন ফেলে দিয়েছে হুমকির মুখে। আর বিশেষ করে চোর-ডাকাত, মাদকসেবীদেরকে আইনী সুযোগ না দিতে আইনজীবীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সেকেন্ড অফিসার আব্দুর রহমান এর সঞ্চালণায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মো: সেলিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন খান ও প্রবীন পঞ্চায়েত ব্যক্তিত্ব সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ, ১নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন, ৩ং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান, ৬নং কাগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এরশাদ আলী, সৈদারটুলা ১২ মহল্লা ছান্দের সর্দার মোঃ এনামুল হোসেন খান বাহার, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঙ্গুর মিয়া, সর্দার আব্দুর রশিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাসিয়াড়া মহল্লার সর্দার মোঃ আনোয়ার হোসেন ও হাজী আবু জাফর মিয়াসহ সাংবাদিকবৃন্দ। পরে ৮নং কুর্শা খাগাউড়া ইউনিয়নে পুলিশ ফাঁড়ির নির্মাণ কাজের পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যাহ বিপিএম,পিপিএম।