ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গ্যানিংগঞ্জ বাজারের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপি তাফসিরুল কোরআন মহা সম্মেলন আগামী ৯,১০ ও ১১ ডিসেম্বর Logo সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে নৌকাকে বিজয়ী করুন : এমপি আবুজাহির Logo বানিয়াচংয়ে হবিগঞ্জ শিক্ষা-সংস্কৃতি উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ অনুষ্ঠিত Logo বানিয়াচং ইসলাহুল উম্মাহ পরিষদের উদ্যোগে মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন এমপি মজিদ খান Logo বানিয়াচং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা Logo নৌকা মার্কার সমর্থনে বানিয়াচং দক্ষিণ যাত্রাপাশা বনমুথুরা ভূমিহীন নারী-পুরুষের মিছিল Logo বানিয়াচংয়ে সরকারি প্রণোদনার ৭ হাজার ১শ’ কৃষককে সার-বীজ প্রদান Logo বানিয়াচংয়ে ফারুক চৌধুরী মিতুর মৃত্যুতে আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খানের শোক Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

অভিমান ভুলে হেফাজতে ইসলামে ফিরতে চান আনাসপন্থীরা

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০২:১৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

তরঙ্গ ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামে ফিরতে চান নতুন কমিটিতে বাদ পড়া প্রতিষ্ঠাতা আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর পুত্র মাওলানা আনাস মাদানির অনুসারীরা। মান-অভিমান ভুলে মূলধারায় ফিরে আসলে তাদের বরণ করতেও কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নতুন কমিটির নেতারা। সম্মেলনকে ঘিরে কিছু নেতার সাথে তিক্ততা সৃষ্টি হলেও হেফাজতে এখন ঐক্যের সুর শোনা যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কতিপয় নেতা হেফাজতে ইসলামের জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিলের বিরোধিতা করেন। নতুন কমিটিতে তাদের রাখা হয়নি। তারা এখন মূলধারায় ফিরতে আগ্রহী। কিছু শর্ত মেনে এবং কমিটিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে তারা ফিরে আসবেন এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বেশ কিছু সংখ্যক পদ এখনও খালি থাকায় তাদের ফিরিয়ে আনার সুযোগ এবং সেইসাথে কমিটির নেতাদের আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন অনেকে। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনায় উভয় পক্ষের দূরত্ব কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে।

গত ১৫ নভেম্বর প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর অরাজনৈতিক এ সংগঠনের প্রথম জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় সম্মেলনে শায়খুল হাদিস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির এবং আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে ১৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। নবগঠিত ১৫১ সদস্যের মধ্যে ১২০ জনকে পদ দেয়া হয়েছে। বাকি ৩১ জনকে পরে সংযুক্ত করবে নতুন কমিটিতে। জানা গেছে, সম্মেলনের যারা বিরোধিতা করেছিলেন তারা এখন সংগঠনে ফিরতে চান। শূণ্যপদগুলোতে আসতে চান তাদের অনেকে।

তারা কিছু শর্ত দিয়ে হেফাজতে ফিরতে চান। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ঘোষিত কমিটি সংস্কার, প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শফীর নীতি ও আদর্শ মেনে চলা। বর্তমান কমিটির নেতারা বলছেন তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়নি। হলুদ কার্ড প্রদর্শন তথা তাদের কৃতকর্মের জন্য সতর্ক করা হয়েছে মাত্র। আর হেফাজতে ইসলাম আল্লামা শফীর নীতি বা মূল আদর্শ থেকে একচুলও বিচ্যুত হয়নি। তারা আসতে চাইলে তাদের গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।

 

এ প্রসঙ্গে হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী বলেন, একটি পরিবারের সদস্যের মধ্যেও মতবিরোধ হয়, মান অভিমান হয়। হেফাজতে ইসলাম আমাদের জন্য একটি পরিবারের মতো। আমরাই হেফাজতের প্রতিষ্ঠা করেছি মহান উদ্দেশ্য নিয়ে। বর্তমানে যে কমিটি করা হয়েছে তাতে কতিপয় ব্যক্তিকে পদ দেয়া হয়েছে।

হেফাজতে ইসলাম কোন ব্যক্তি বা দলকেন্দ্রিক সংগঠন নয়, তৌহিদী জনতা, ইসলাম প্রিয় মানুষের প্রাণপ্রিয় সংগঠন এ দেশের কওমি আলেম ও মুসলমানদের একটি ঐক্যবদ্ধ এ সংগঠন। হেফাজতের ভাঙন আমরা চাই না। বর্তমান কমিটির নেতারা যদি আল্লামা শফীর নীতি ও আদর্শে ফিরে আসেন তাহলে একযোগে মিলে মিশে এক হয়ে কাজ করতে আমাদের কোন সমস্যা নেই।

এসব বিষয়ে শনিবার ঢাকায় তাদের অনুসারী আলেম-ওলামা এবং হেফাজত নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে আপাতত হেফাজতের কোন পাল্টা কমিটি করার চিন্তা-ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

এদিকে শিগগিরই বাকি ৩১ জনকে যুক্ত করে হেফাজতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন এক নেতা। এই ব্যাপারে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, হেফাজতে ইসলাম কারো পকেটের নয়। এটি হলো তৌহিদী জনতার অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা কোন গ্রুপ বুঝিনা। আসুন সবাই এক নীতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দিন মনির বলেন, তারা ফিরে আসতে চাইলে তাদের কিভাবে গ্রহণ করা হবে এ সিদ্ধান্ত হেফাজতের নেতারাই নেবেন।

উল্লেখ্য, নতুন কমিটিতে ঠাঁই হয়নি সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানিসহ বেশ কয়েকজন নেতার।

সূত্র : ইমান২৪.কম

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

গ্যানিংগঞ্জ বাজারের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপি তাফসিরুল কোরআন মহা সম্মেলন আগামী ৯,১০ ও ১১ ডিসেম্বর

অভিমান ভুলে হেফাজতে ইসলামে ফিরতে চান আনাসপন্থীরা

আপডেট সময় ০২:১৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০

তরঙ্গ ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামে ফিরতে চান নতুন কমিটিতে বাদ পড়া প্রতিষ্ঠাতা আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর পুত্র মাওলানা আনাস মাদানির অনুসারীরা। মান-অভিমান ভুলে মূলধারায় ফিরে আসলে তাদের বরণ করতেও কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নতুন কমিটির নেতারা। সম্মেলনকে ঘিরে কিছু নেতার সাথে তিক্ততা সৃষ্টি হলেও হেফাজতে এখন ঐক্যের সুর শোনা যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কতিপয় নেতা হেফাজতে ইসলামের জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিলের বিরোধিতা করেন। নতুন কমিটিতে তাদের রাখা হয়নি। তারা এখন মূলধারায় ফিরতে আগ্রহী। কিছু শর্ত মেনে এবং কমিটিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে তারা ফিরে আসবেন এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বেশ কিছু সংখ্যক পদ এখনও খালি থাকায় তাদের ফিরিয়ে আনার সুযোগ এবং সেইসাথে কমিটির নেতাদের আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন অনেকে। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনায় উভয় পক্ষের দূরত্ব কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে।

গত ১৫ নভেম্বর প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর অরাজনৈতিক এ সংগঠনের প্রথম জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় সম্মেলনে শায়খুল হাদিস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির এবং আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে ১৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। নবগঠিত ১৫১ সদস্যের মধ্যে ১২০ জনকে পদ দেয়া হয়েছে। বাকি ৩১ জনকে পরে সংযুক্ত করবে নতুন কমিটিতে। জানা গেছে, সম্মেলনের যারা বিরোধিতা করেছিলেন তারা এখন সংগঠনে ফিরতে চান। শূণ্যপদগুলোতে আসতে চান তাদের অনেকে।

তারা কিছু শর্ত দিয়ে হেফাজতে ফিরতে চান। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ঘোষিত কমিটি সংস্কার, প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শফীর নীতি ও আদর্শ মেনে চলা। বর্তমান কমিটির নেতারা বলছেন তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়নি। হলুদ কার্ড প্রদর্শন তথা তাদের কৃতকর্মের জন্য সতর্ক করা হয়েছে মাত্র। আর হেফাজতে ইসলাম আল্লামা শফীর নীতি বা মূল আদর্শ থেকে একচুলও বিচ্যুত হয়নি। তারা আসতে চাইলে তাদের গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।

 

এ প্রসঙ্গে হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী বলেন, একটি পরিবারের সদস্যের মধ্যেও মতবিরোধ হয়, মান অভিমান হয়। হেফাজতে ইসলাম আমাদের জন্য একটি পরিবারের মতো। আমরাই হেফাজতের প্রতিষ্ঠা করেছি মহান উদ্দেশ্য নিয়ে। বর্তমানে যে কমিটি করা হয়েছে তাতে কতিপয় ব্যক্তিকে পদ দেয়া হয়েছে।

হেফাজতে ইসলাম কোন ব্যক্তি বা দলকেন্দ্রিক সংগঠন নয়, তৌহিদী জনতা, ইসলাম প্রিয় মানুষের প্রাণপ্রিয় সংগঠন এ দেশের কওমি আলেম ও মুসলমানদের একটি ঐক্যবদ্ধ এ সংগঠন। হেফাজতের ভাঙন আমরা চাই না। বর্তমান কমিটির নেতারা যদি আল্লামা শফীর নীতি ও আদর্শে ফিরে আসেন তাহলে একযোগে মিলে মিশে এক হয়ে কাজ করতে আমাদের কোন সমস্যা নেই।

এসব বিষয়ে শনিবার ঢাকায় তাদের অনুসারী আলেম-ওলামা এবং হেফাজত নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে আপাতত হেফাজতের কোন পাল্টা কমিটি করার চিন্তা-ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

এদিকে শিগগিরই বাকি ৩১ জনকে যুক্ত করে হেফাজতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন এক নেতা। এই ব্যাপারে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, হেফাজতে ইসলাম কারো পকেটের নয়। এটি হলো তৌহিদী জনতার অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা কোন গ্রুপ বুঝিনা। আসুন সবাই এক নীতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দিন মনির বলেন, তারা ফিরে আসতে চাইলে তাদের কিভাবে গ্রহণ করা হবে এ সিদ্ধান্ত হেফাজতের নেতারাই নেবেন।

উল্লেখ্য, নতুন কমিটিতে ঠাঁই হয়নি সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানিসহ বেশ কয়েকজন নেতার।

সূত্র : ইমান২৪.কম