শিব্বির আহমদ আরজু : বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসাইন বলেছেন, অপরাধী যতই শক্তিশালী হউক তা সরকার এবং জনগণের চেয়ে শক্তিশালী নয়। অপরাধীর দুনিয়াটা খুব ছোট। আপনারা যারা সমাজের সচেতন ব্যক্তি আছেন, আপনারা আপনাদের নিজেদের অবস্থান থেকে সচেতন হন, দেখবেন অপরাধীরা পালাবার পথ পাবে না। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার এবং পুলিশ মাদক এবং যে কোন অপরাধের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছেন। এ ক্ষেত্রে অপরাধী যেই হউক কোন ছাড় নয়। প্রয়োজনে একজন মাদকসেবী বা অপরাধীকে ধরতে ২০/৩০ জন পুলিশ অভিযান চালাবে।
তবুও আমরা চাই দেশ এবং সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখতে। বৃহস্পতিবার (১৬জুলাই) সকাল ১১টায় বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে বিট পুলিশের উদ্যোগে ‘পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সমন্বয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অফিসার ইনচার্জ আরও বলেন, আমরা পাকিস্তানী বা বৃটিশের পুলিশ নই।
আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ। আমরা অপরাধীকে ভয় পাই না। যে কোন অপরাধ বা অপরাধীর ক্ষেত্রে নি:ঙ্কোচ মনে আপনারা আমাদের তথ্য দিন। আমরা তথ্য দাতার নাম গোপন রেখে অপরাধীকে ধরতে শতভাগ সচেষ্ট আছি। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছি। এ ক্ষেত্রে হবিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য এসপি স্যার ও সার্কেল স্যার অত্যন্ত আন্তরিক। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এদত অঞ্চল থেকে গ্রাম্য দাঙ্গা, মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলোৎপাঠন করতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ। ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেখাছ মিয়ার সভাপতিত্বে ও এস আই শিমুল রায় এর সঞ্চালণায় বক্তব্য রাখেন, ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া লিলু, ৪নং ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল কাদির, তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডট কম সম্পাদক শিব্বির আহমদ আরজু, ইউপি সদস্য মো. স্বরাজ মিয়া, এম নুরুল ইসলাম, কামাল মিয়া, বাবলু মিয়া, জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।