আগামী ১৫ জুন ২০২২ খ্রি. হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বসে নেই তাদের স্বজনসহ কর্মী-সমর্থকরাও। চূড়ান্ত ফলাফল নিজেদের ঘরে তুলতে উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচিত হলে ইউনিয়নের উন্নয়ন নিয়ে কি ভাবছেন এ নিয়ে ‘তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকম’র মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত ( নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ) বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রেখাছ মিয়া। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ‘তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকম’র সম্পাদক ও প্রকাশক শিব্বির আহমদ আরজু। সহযোগিতা করেছেন বার্তা সম্পাদক মোঃ আব্দাল মিয়া।
তরঙ্গ : ২০১৬ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ম বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ বছরও নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কি ?
মোঃ রেখাছ মিয়া : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার প্রতি ২য় বারের মতো আস্থা এবং বিশ্বাস রাখার জন্য।
তরঙ্গ : এবারের নির্বাচনের ইশতেহারে কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছেন ?
মোঃ রেখাছ মিয়া : শিক্ষার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আর তাছাড়া যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও স্যানিটেশনকেও গুরুত্ব দিচ্ছি। সর্বোপরি সামাজিক উন্নয়নকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।
তরঙ্গ : এ বছর নির্বাচিত হলে কোন বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিবেন।
মোঃ রেখাছ মিয়া : শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতির শিখরে আরোহণ করতে পারে না। প্রজন্ম শিক্ষিত হলে এমনিতেই অনেক অপরাধ কমে যাবে। তাই অসহায়-দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঝড়ে পড়া রোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।
তরঙ্গ : মাদকও জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলে আপনার ভূমিকা কি ?
মোঃ রেখাছ মিয়া : মাদক ও জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ বন্ধে আমি সবসময় সোচ্ছার আছি। আমি চাই এসব অপরাধ থেকে মানুষ ফিরে আসুক কল্যাণের দিকে।
তরঙ্গ : স্যানিটেশনের ব্যাপারে আপনার ভূমিকা কি ?
মোঃ রেখাছ মিয়া : আমি নির্বাচিত হওয়ার পর স্যানিটেশনের ব্যাপারে অনেক ভূমিকা রেখেছি। বিগত দিনে ৫৭টি গভীর টিউবওয়েল জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেছি। আর তাছাড়া খোলা ল্যাট্টিন কমিয়ে আনতে অনেক ভূমিকা রেখেছি। সেটা বর্তমানে অনেক উন্নতির দিকে আছে। এ বছর নির্বাচিত হলে সেদিকে সমান গুরুত্ব থাকবে।
তরঙ্গ : নারী উন্নয়নে আপনার ভূমিকা কি ?
মোঃ রেখাছ মিয়া : দেখুন সরকার প্রধান, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী। আমার ইউনিয়নে সংরক্ষিত ৩জন সদস্যা আছেন। পষিদের সভার ক্ষেত্রে আমি তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেই এবং কোন নারী যে কোন সমস্যায় পতিত হলে যথাযথভাবে তাদের ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দিতে কাজ করি।
তরঙ্গ : আমরা জানি ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটের সময় ক্রীড়াক্ষেত্রে একটি খাত থাকে। এ ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কি ?
মোঃ রেখাছ মিয়া : ক্রীড়াক্ষেত্রে আমি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছি। যেমন- বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফটুবল-ভলিবল টুর্নামেন্টে ইউনিয়ন ভিত্তিক দল গঠন করে যুব সমাজকে খেলাধূলায় মত্ত রেখেছি। বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে আমরা সফলতাও পেয়েছি। বিজয়ী হলে ক্রীড়াক্ষেত্রে সেভাবেই ভূমিকা থাকবে
তরঙ্গ : সম্মানীত ভোটারদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন কি ?
মোঃ রেখাছ মিয়া : সম্মানীত ভোটার এবং ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে বলব, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর অবকাঠামো উন্নয়নসহ জনসাধারণের সমস্যা সমাধানে পাশে থেকে কাজ করেছি। কোভিড-১৯ এর সময় অসহায়-দরিদ্র মানুষদের বাঁছাই করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাদের দোরগড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে এবছরও আমি বেশ আশাবাদী তারা আমাকে নির্বাচিত করে খেদমত করার সুযোগ দিবেন।
তরঙ্গ : শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মোঃ রেখাছ মিয়া : ‘তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকম’ পরিবারকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।