আকিব শাহরিয়ার, লাখাই থেকে : লাখাইয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য উর্ধ্বগতিতে ক্রেতাসাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে। চলমান লকডাউন ও পবিত্র রমজান মাসকে পুঁজি করে লাখাইর হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এতে রোজার শুরুতেই করোনাকালীন লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষজন দিশাহারা হয়ে পড়ছেন।
রোজা ও লকডাউনের শুরুতে পণ্যের এমন লাগামহীন বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা হিমশিম খাচ্ছেন। মাত্র দুই এক দিনের ব্যবধানে কোন কোন পণ্যের মূল্য দেড় থেকে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২ দিন পূর্বে যে শশা প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন ৫৫-৬০ টাকায়, ৪০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ ৬০-৮০ টাকায়, ২০ টাকা কেজি দরের খিরা ৫০ টাকা, ২০ টাকা কেজির টমেটো ৪০-৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকার স্থলে ৩৫-৫০ টাকা, চাপা কলা প্রতি হালি ৮-১০ টাকার স্থলে ২০-২৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ইফতারি সামগ্রী খেজুরসহ ফলমূলের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। মাছ, মাংস, ডিম, ব্রয়লার মুরগীর দামও তথৈবচ অবস্থা। বেড়ে চলেছে গুঁড়ো দুধের মূল্যও। এদিকে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় লকডাউন চলাকালীন সময়ে নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী দোকান খোলা ও বন্ধ রাখা এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর বিকল্প নেই।
এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) লাখাইর স্থানীয় বুল্লা বাজারে সওদা করতে আসা দিনমজুর আব্দুল হামিদ এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, মাটি কেটে ৪০০ টাকা রোজগার করেছি কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব কিছুতে দাম বেড়েছে। ভেবে পাচ্ছি না কি রেখে কি কিনব, হিসেব মিলছে না। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।