শিব্বির আহমদ আরজু : বানিয়াচংয়ে মজলিশপুর ও কামালখানী ২ গ্রামের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনাটি আপোষে নিস্পত্তি করা করা হয়েছে।শনিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আইডিয়েল কলেজ মাঠে হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এর সভাপতিত্বে সালিশ বিচারে ২ গ্রামের দীর্ঘদিনের বিরোধটি নিস্পত্তি করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচংয়ে কানিভাঙ্গা হাওড়ে ১৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় জলাশয়ে বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে কামাল খানী ও মজলিশপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হন। এ রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে ১টা পর্যন্ত। এতে করে উভয় পক্ষকে আসামী করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করে বানিয়াচং থানা পুলিশ। ২ গ্রামের এ সংঘর্ষের বিষয়টি নিস্পত্তি করতে উদ্যোগ নেন এমপি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।
এ লক্ষে গত ২০ ডিসেম্বর রাতে বানিয়াচং বড়বাজার প্রেসক্লাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে সালিশ বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এতে উভয় পক্ষ সম্মতি গ্রহণ করে। এর ফলশ্রুতিতে শনিবার হাজার-হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বিরোধটি নিস্পত্তি করে দেওয়া হয়। এতে করে জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। সালিশ বিচারে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর হোসেন মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন খান বাহার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, বড় বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, আঙ্গুর মিয়া,
সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান খান, ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খান, ১নং উত্তর-পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউপিচেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান, আলীয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল ও বিশিষ্ট লেখক কাজী মুফতি আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিয়া,আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নেওয়াজ ফুল মিয়া প্রমুখ।