বিশেষ প্রতিনিধি : “বানিয়াচংয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন, প্রশাসনের ভূমিকায় হতাশ এলাকাবাসী” মঙ্গলবার (৬এপ্রিল) দৈনিক “আমার হবিগঞ্জ”পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে সংবাদটি প্রকাশের পর বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার নির্দেশে আজ মঙ্গলবার সার্ভেয়ার তপন দেব ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উঠানোর পাইপ ও বালু উঠানোর সত্যতা পেয়ে উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
এসময় সার্ভেয়ার তপন দেব ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগি মঈন উদ্দিন ও তোফায়েলকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় মাটি এবং বালু উত্তোলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেন। অন্যদিকে মার্কূলী নৌ ফাঁড়ির আইসি এসআই হাসনাতকে কেউ যাতে এখানে আর কোন ধরণের কর্মকান্ড না করে সেদিকে নজর রাখার জন্য বলা হয়। তবে যার নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করা হয়েছে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান সেখানে ছিলেন না। পরবর্তীতে সার্ভেয়ার ইউপি কার্যালয়ে এসে তার সাথে দেখা করার পর তিনি সার্ভেয়ার তপন দেবকে জানান,আমি বালু উত্তোলন করিনি। আর এটা আমার কাজও না।
প্রসঙ্গত, বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের মার্কুলি বাজারের পশ্চিমে হিলালনগর গ্রামের উত্তর পার্শ্বে কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এই বালু উত্তোলনের ফলে আশেপাশের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ হিলালনগর গ্রামের প্রায় ২৫০ পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও ভূমি অফিসের নজরদারি না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল।
এতে এলাকার ফসলি জমি নষ্টের পাশাপাশি ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালী ড্রেজার সিন্ডিকেটের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।