ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাংবাদিক মঈন উদ্দিন এঁর পিতার মৃত্যুতে তরঙ্গ২৪.কম পরিবার গভীরভাবে শোকাহত Logo গ্যানিংগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন Logo মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব Logo দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘বানিয়াচং ইসলামি নাগরিক ফোরাম’ নেতৃবৃন্দ Logo নূরানী শিক্ষা বোর্ডে মেধা তালিকায় ২য় হয়েছে গ্যানিংগঞ্জ বাজার নূরানী মাদ্রাসার ছাত্রী মুনতাহা আক্তার Logo বানিয়াচংয়ে ১২কেজি গাঁজাসহ কুখ্যাত ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo বানিয়াচং শাহজালাল কে.জি স্কুল ২০২৩ বৃত্তি পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য Logo চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন ডা. ইলিয়াছ একাডেমির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত Logo ৪০তম তাফসিরুল কোরআন মহা সম্মেলন সফল করায় আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ Logo ইফার সাবেক ফিল্ড অফিসার আব্দুল ওয়াদুদের মৃত্যুতে জেলা মউশিক কল্যাণ পরিষদ নেতৃবৃন্দের শোক

অঝোরে কাঁদলেন মাহবুব তালুকদার

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ২৪৮ বার পড়া হয়েছে
তরঙ্গ ডেস্ক : ছাত্রজীবন থেকে শুরু ক্যারিয়ারের বেশ কিছু সময় সাংবাদিকতায় ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সাংবাদিকতা জীবনের সেই স্মৃতিচারণ করে তিনি কাঁদলেন অঝোরে।

জানালেন সাংবাদিকতা করতে না পারার আক্ষেপের কথা।বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিক সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি)

কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নিজের সাংবাদিকতা জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। মাহবুব তালুকদার বলেন,

‘আমার জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল সাংবাদিক হব। ৬০ বছর আগে আমি সাংবাদিক হয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি পর আমি দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলাম।

কিন্তু ভাগ্য আমাকে সাংবাদিকতায় থাকতে দিল না। ওই সময় আমি ১০০ টাকা বেতন পেতাম। আর পত্রিকার ইঞ্চি মেপে টাকা পেতাম। এর মধ্যে আমার পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হয়ে গেল। তখনকার দিনে রেজাল্ট ভালো হলে কেউ সাংবাদিকতায় থাকত না।

আমাদের সময় আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে সাংবাদিকতায় ঢুকিয়ে দিত। এরপর আমি বৃত্তি পেয়ে পিএইচডি করতে গেলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মতো বোকা লোক ১৯৬৫ সালে যখন বাংলা সাহিত্যে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক নিয়ে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হয়েছি,

তখন আমি প্রায় দেশের শত্রু হয়ে গেলাম। ওই সময় বাংলাতে হিন্দু ও মুসলমানদের সেভাবে দেখা হতো না। তখন আমি আরেকটি চাকরি পেয়ে গেলাম বুয়েটে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা পর্যন্ত শেষমেশ আমাকে টেনে নিয়ে গেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন কিন্তু আমার সাংবাদিক জীবনের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আজকে যখন তোমাদেরকে (সাংবাদিক) চোখের সামনে দেখি, আমার খুব ঈর্ষা হয়। যদিও হওয়া উচিত না। কারণ সাংবাদিকতা কিন্তু আমাকে অনেক দিয়েছে। কী দিয়েছে তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না। আমি যখন ১৯৬১-৬২ সালে সাংবাদিক, তখন ইত্তেফাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো সাংবাদিক ছিল না। আমি একাই ছিলাম।

আমরা সেই উত্তাল সময়ে, যখন ইপিআর ছাত্রদের ওপর রাইফেল উঁচিয়ে আছে, আমরা নির্বিবাদে একটু সাদা কাগজে কলম চেপে ধরে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কী অপরিসীম শিহরণ তখন মনে। আমাদেরকে ওরা কিছু করবে না। কিন্তু এরপর এই সাংবাদিকতা আমাকে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব দিয়েছে। ওই সময় যারা রাজনীতি করেছে তাদের সাথে আমার ভালো বন্ধুত্ব ছিল সাংবাদিকতার কারণেই।’মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতা আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু একটা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে আগরতলায় চলে গেলাম। তারপর ইত্তেফাকে চাকরি হওয়ার সুবাদে আমার চাকরি হয়েছিল তথ্য মন্ত্রণালয়ে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক মঈন উদ্দিন এঁর পিতার মৃত্যুতে তরঙ্গ২৪.কম পরিবার গভীরভাবে শোকাহত

অঝোরে কাঁদলেন মাহবুব তালুকদার

আপডেট সময় ০৫:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
তরঙ্গ ডেস্ক : ছাত্রজীবন থেকে শুরু ক্যারিয়ারের বেশ কিছু সময় সাংবাদিকতায় ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সাংবাদিকতা জীবনের সেই স্মৃতিচারণ করে তিনি কাঁদলেন অঝোরে।

জানালেন সাংবাদিকতা করতে না পারার আক্ষেপের কথা।বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিক সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি)

কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নিজের সাংবাদিকতা জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। মাহবুব তালুকদার বলেন,

‘আমার জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল সাংবাদিক হব। ৬০ বছর আগে আমি সাংবাদিক হয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি পর আমি দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলাম।

কিন্তু ভাগ্য আমাকে সাংবাদিকতায় থাকতে দিল না। ওই সময় আমি ১০০ টাকা বেতন পেতাম। আর পত্রিকার ইঞ্চি মেপে টাকা পেতাম। এর মধ্যে আমার পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হয়ে গেল। তখনকার দিনে রেজাল্ট ভালো হলে কেউ সাংবাদিকতায় থাকত না।

আমাদের সময় আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে সাংবাদিকতায় ঢুকিয়ে দিত। এরপর আমি বৃত্তি পেয়ে পিএইচডি করতে গেলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মতো বোকা লোক ১৯৬৫ সালে যখন বাংলা সাহিত্যে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক নিয়ে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হয়েছি,

তখন আমি প্রায় দেশের শত্রু হয়ে গেলাম। ওই সময় বাংলাতে হিন্দু ও মুসলমানদের সেভাবে দেখা হতো না। তখন আমি আরেকটি চাকরি পেয়ে গেলাম বুয়েটে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা পর্যন্ত শেষমেশ আমাকে টেনে নিয়ে গেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন কিন্তু আমার সাংবাদিক জীবনের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আজকে যখন তোমাদেরকে (সাংবাদিক) চোখের সামনে দেখি, আমার খুব ঈর্ষা হয়। যদিও হওয়া উচিত না। কারণ সাংবাদিকতা কিন্তু আমাকে অনেক দিয়েছে। কী দিয়েছে তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না। আমি যখন ১৯৬১-৬২ সালে সাংবাদিক, তখন ইত্তেফাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো সাংবাদিক ছিল না। আমি একাই ছিলাম।

আমরা সেই উত্তাল সময়ে, যখন ইপিআর ছাত্রদের ওপর রাইফেল উঁচিয়ে আছে, আমরা নির্বিবাদে একটু সাদা কাগজে কলম চেপে ধরে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কী অপরিসীম শিহরণ তখন মনে। আমাদেরকে ওরা কিছু করবে না। কিন্তু এরপর এই সাংবাদিকতা আমাকে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব দিয়েছে। ওই সময় যারা রাজনীতি করেছে তাদের সাথে আমার ভালো বন্ধুত্ব ছিল সাংবাদিকতার কারণেই।’মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতা আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু একটা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে আগরতলায় চলে গেলাম। তারপর ইত্তেফাকে চাকরি হওয়ার সুবাদে আমার চাকরি হয়েছিল তথ্য মন্ত্রণালয়ে।’